নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে জেল গিয়ে। বৃহস্পতিবার তদন্তকারীদের এই নির্দেশ দিলেন বিশেষ PMLA আদালতের বিচারক। গত জুলাইয়ে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এর কিছুদিন পরেই স্ত্রী বিয়োগ হয় সুজয়কৃষ্ণর। তার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।আদালত নির্দেশ দিয়েছে, দরকারে হাসপাতালে গিয়েই সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে ইডিকে। তবে তাঁর ওপর কোনও মানসিক চাপ যেন তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ইডি আধিকারিকদের।সুজয়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর উঠে আসে, বিষ্ণুপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে দিয়ে যাবতীয় কুকর্ম করাতেন তিনি। এর পর রাহুল বেরার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। বাজেয়াপ্ত হয় তাঁর ফোন। সেই ফোনে একটি কল রেকর্ডিং পাওয়া যায়। যাতে সুজয়কৃষ্ণ রাহুলকে ফোনে থাকা বেশ কিছু তথ্য মুছে ফেলতে নির্দেশ দিচ্ছেন। সেই কণ্ঠস্বর যে সুজয়কৃষ্ণেরই তা নিশ্চিত হতে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে আদালতে তাঁর কণ্ঠস্বর সংগ্রহের অনুমতি চায় ইডি।আদালত ইডিকে অনুমতি দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই প্রয়াণ হয় সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রীর। স্ত্রীর শেষকৃত্যের প্যারোলে মুক্ত হন সুজয়কৃষ্ণ। প্যারোলের মেয়াদ শেষে জেলে ফিরেই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। এর পর তাঁর বাইপাস সার্জারি হয় বেসরকারি হাসপাতালে। দিন কয়েক পর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি। এর পর তাঁকে SSKM-এ ভর্তি করে জেল কর্তৃপক্ষ। অগাস্ট মাস থেকে SSKMএই ভর্তি রয়েছেন তিনি।ইডি আদালতে আবেদন করে, হাইকোর্ট ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেছে। তাই দ্রুত সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এর পরই ইডিকে হাসপাতালে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দেয় আদালত।