প্রদেশ কংগ্রেস সাইনবোর্ড। এই কথা কয়েক বছর আগে বলেছিলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রদেশ কংগ্রেসের যেটুকু সাফল্য উঠে এসেছিল সেটার নেপথ্যে ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, সোমেন মিত্র, মানস ভুঁইয়া এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য যখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। এদের মধ্যে দু’জন প্রয়াত। একজন এখনও কংগ্রেসে আছেন। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন উত্তর কলকাতা থেকে। আর একজন এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সেচমন্ত্রী। এমনকী বহরমপুরের রবিনহুড অধীর চৌধুরীকেও হারতে হয়েছে। এখন সরে যেতে হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে। বিধানসভায় শূন্য কংগ্রেস। মৌলালি এলাকার কংগ্রেস কার্যালয়ের বাস্তু দেখাতে এখন জ্যোতিষী ডাকা হয়েছে। যদি সাইনবোর্ড থেকে হোর্ডিং হওয়া যায়।
নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার মনে করেন, প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে চারতলার ‘ওয়ার রুম’ ছেড়ে যাওয়াই আজকের ভরাডুবির অন্যতম কারণ। দ্বিতীয়বার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে অধীর চৌধুরী ভিতরের ঘরে বসা শুরু করেন। কিন্তু কর্মী–নেতাদের অনুরোধে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ভেবেছেন, ভিতরে নয় বাইরের ঘরে বসবেন। ওই ঘরেই রাজ্যের সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন। কারণ চারতলার ওই ওয়ার রুম অত্যন্ত লাকি। তাই বাইরের ঘরের বাস্তু দেখাতে এবার জ্যোতিষী ডাকা হয়েছে। ঘরের এখন পরিস্থিতি সবটা দেখে অদলবদল করতে হলে তা করা হবে।
আরও পড়ুন: মহালয়ার প্রাক্কালে শহরের বুকে মশাল মিছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের স্লোগান ‘বিচার চাই’
রাজনৈতিক খরা কাটাতে বিধান ভবনের চারতলায় বাস্তু দেখিয়ে বদল আনতে চাইছে নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এই চারতলার ডানদিকে লম্বা করিডর। আর বাঁ–হাতের প্রথম বড় ঘরটি একদা ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক মানস সরকার বলেন, ‘এই ঘর আমাদের কাছে সবসময় ‘লাকি’। এই ঘর থেকে দল চালিয়ে প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হন। সোমেনদা জনপ্রিয় নেতা এবং সাংসদ হয়েছেন। প্রদীপদা পর পর সাংসদ হয়েছেন। আর মানস ভুঁইয়া রাজ্যের মন্ত্রী হন। তাই এই ঘর আমাদের লাকি মনে হয়।’ তবে শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, ‘অধীরদাকে হারানো যায়, এটা বিশ্বাস হয়নি। তাঁর পরাজয় ওই ঘর বদল নিয়ে ভাবিয়েছে।’