মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট আজ পেশ হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই বাজেটে নজর দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উন্নয়নমূলক এবং জনমুখী প্রকল্পের দিকে। রাজস্ব ঘাটতি মেটানোও অন্যতম লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। সেটা এই বাজেটে বোঝা গেল। চন্দ্রিমার বাজেট পেশের শুরুতেই বিধানসভায় ‘চাকরি চাই’, ‘চাকরি চাই’ স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্লোগান দেন আরজি কর নিয়েও। পালটা আওয়াজ ‘জয় বাংলা’। আর তার মধ্যেই পথশ্রী প্রকল্পে বরাদ্দ আরও দেড় হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বাজেট পেশের ঠিক আগে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী–বিধায়করা। এমনকী আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও ছিলেন সেখানে। তবে এবারও বিজেপির কোনও বিধায়ক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী উষ্মাপ্রকাশ করে বলেন, ‘এই ধরনের বৈঠকে বিরোধীদের হাজির থাকা উচিত।’ পাল্টা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিরোধীদের না অংশ নেওয়ার কারণ সরকার।’ পথশ্রী প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ার অর্থ আরও রাস্তা তৈরি হবে এবং কাজ পাবেন জবকার্ড হোল্ডাররা।
আরও পড়ুন: গা–ঢাকা দিয়েছেন রেখা পাত্রের ছায়াসঙ্গী বিজেপি নেতা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রতারণা
কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। সেই বকেয়া টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আবাসের টাকা বাকি। যেটাও দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর জবকার্ড হোল্ডাররা যাতে কাজ পান তাই কর্মশ্রী প্রকল্প গড়ে উঠেছে। তবে পথশ্রী প্রকল্পেও কাজ করতে পারবেন তাঁরা। একের পর এক ঘোষণা চলছে রাজ্য বাজেটে। রাজ্য সরকারের মাথার উপর ৭ লক্ষ কোটি টাকার দেনা রয়েছে। তার উপর চড়া সুদের জেরে প্রত্যেক আর্থিক বর্ষে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হয়। তারপরও আমজনতার উপর চাপ বাড়াতে রাজি নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।