রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তিনি ফাইল আটকে রাখেন। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল, তিনি কোনও ফআইল আটকে রাখেননি। আর রাজ্যপালের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দিলেন, তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে কেউ জানতে চাইলেই তিনি জানাবেন যে কোথায় ফাইল আটকে রয়েছে।বিমাবনবাবুর বক্তব্য, ‘রাজ্যপালের কথার জবাব দিতে দিতে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। আমি জানি না যে তিনি কীভাবে বলছেন যে কোনও ফাইল আটকে নেই। বিধানসভা থেকে কোনও ফাইল গেলে তা বিধানসভাতেই ফেরত আসা উচিত। এই বিষয়ে কেউ আরটিআই করলেই আমে সবটা বলব।’উল্লেখ্য প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বিধানসভায় সংবিধানের রচনা করা ডঃ বিআর আম্বেদকরকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, ‘অভিযোগ করা হচ্ছে আমি নাকি অনেক বিল আটকে রেখেছি। আমি সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমার কাছে কোনও বিল আটকে নেই। আমার কাছে কোনও বিল পাঠানো হলে তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে যা গণতন্ত্রের জন্য ভাল উদাহরণ নয়। বিধানসভা অধ্যক্ষ সরাসরি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। রাষ্ট্রপতি যে বিলে সই করেননি সেই বিলও আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে আমার বিরুদ্ধে। আমি কোনও তথ্য চাইলে তা ঠিক ভাবে আমাকে দেওয়া হয় না।’উল্লেখ্য, হাওড়া ও বালি পুরসভার পৃথকিকরণের ফাইলনিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। এই আভহে গতকাল ১০৮টি পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করা হলেও সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে হাওড়া ও বালি। এই আবহে রাজ্যপাল ফের ফাইল না আটকে রাখার দাবি করলে বিতর্ক তৈরি হয়। এরপরই আরটিআই করে এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে বলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।