২০২৬ এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। তার আগে তৃণমূলে বড় রদবদল। বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন ও সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই পদ পেলেন শিলিগুড়ির শংকর মালাকার।
সোমবার তৃণমূলের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা সাংগঠনিক জেলা( বারাসত) চেয়ারপার্সন করা হয়েছে সব্যসাচী দত্তকে। আর জেলা সভাপতি করা হয়েছে ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে।
অন্য়দিকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি করা হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া শংকর মালাকারকে। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ফুরফুরার পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকিকে।
প্রসঙ্গত এর আগে বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন ছিলেন হাবড়ার তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস। এবার সেই পদে এলেন সব্যসাচী দত্ত। কাকলি ঘোষ দস্তিদার একই পদে থেকে গেলেন।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অত্যন্ত কৌশলী পদক্ষেপ নিল তৃণমূল। শিলিগুড়িতে শঙ্কর মালাকারকে দলের রাজ্য সহ সভাপতির পদ দিয়ে কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারল তৃণমূল। একদিকে শিলিগুড়িতে কংগ্রেসকে আরও কোণঠাসা করা হল। অন্যদিকে জেলায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ শংকর মালাকারকে দিলে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেক্ষেত্রে একেবারে রাজ্যের পদ দিয়ে দলে আসার পুরস্কার দিল তৃণমূল। অনেকের মতে, এটা সান্ত্বনা পুরস্কার।
এদিকে শংকর মালাকারকে দলের জেলা সভাপতির পদ দেওয়া হতে পারে দলের অন্দরে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল।
তবে শংকর মালাকারকে দলের রাজ্য সহ সভাপতির পদ দেওয়ার পরে দলের অন্দরে নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগেও অনেককেই কার্যত স্বান্তনা পুরস্কার হিসাবে এই রাজ্য সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে তাঁদের রাজ্য স্তরেও দলের অন্দরে বিশেষ গুরুত্ব নেই, আবার জেলা স্তরেও তাঁরা বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেন না।
দুবারের বিধায়ক শংকর মালাকার। এআইসিসির সদস্যও ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সমতলের সভাপতি ছিলেন শংকর মালাকার। সেখান থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন শংকর। তবে অনেকের মতে জেলাস্তরে বড় পদ না পেলেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি থেকে তৃণমূলের টিকিট শংকর মালাকার পেতে পারেন বলেও চর্চা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।