ফের শিরোনামে সন্দেশখালি। ফের খবরে শেখ শাহজাহান। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত শাহজাহান আপাতত জেলে। তবে তাঁর মালিকানাধীন এক গেস্টহাউজ থেকেই সম্প্রতি উদ্ধার করা হল ১০ কোটি টাকার জাল নোট। এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন মহেশতলার দেবব্রত চক্রবর্তী এবং মটরদিঘির সিরাজউদ্দিমন মোল্লাহ। পুলিশ জানিয়েছে, এই জাল নোটগুলি বিস্কুটের কার্টনে লুকিয়ে রাখা ছিল। এই নোটের বান্ডিলের ওপরের দিকে ছিল আসল নোট। (আরও পড়ুন: IIM ধর্ষণ কাণ্ডে নয়া মোড়, ধোঁয়াশা বাড়ছে অভিযোগ ঘিরে, জামিন অভিযুক্তের)
আরও পড়ুন: নিউটাউনের পর আনন্দপুর, পটনার হাসপাতালে গ্যাংস্টার খুনে আরও ৫ গ্রেফতার বাংলায়
রিপোর্ট অনুযায়ী, বসিরহাট জেলা পুলিশের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক বলেন, 'এই জাল নোটের উৎসের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছি আমরা। এবং কেন এই হোটেলে সেই নোট আনা হয়েছিল, তা নিয়েও খোঁজ চালানো হচ্ছে। এই টাকা কোথায় পাঠানো হত, এবং কীসের জন্যে ব্যবহার করা হত, তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।' এদিকে এই ঘটনার পরে সন্দেশখালি জুড়ে জাল নোটের সন্ধানে আরও একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিশেষ করে তল্লাশি চালাো হয়েছে। (আরও পড়ুন: এবার সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি নস্যাৎ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী)
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সাধারণ বাংলাদেশিদের ওপর অত্যাচার বাহিনীর, সেনা প্রধান ওয়াকার বললেন...
এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলকে তোপ দেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি নিজের পোস্টে লেখেন, 'সীমান্ত লাগোয়া সন্দেশখালি ফের একবার খবরে এসেছে। এবার জাল নোটের জন্য খবরে এই ছোট্ট শহর। অসহায় নারীদের ধর্ষণ, জমি দখল থেকে এখন জাল নোটের কারবার, এই সব অপরাধের মূলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহান। এই মানুষটাকেই বিধানসভার ফ্লোরে দাঁড়িয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন মমতা। এটা শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নয়, রাজ্যের মদতে এই জায়গাটা অপরাধের মুক্তাঞ্চলের পরিণত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ বাংলা এবং বাঙালির এত ক্ষতি করেনি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারী। দেশদ্রোহী এবং অপরাধীদের ঢাল হয়ে থাকা সরকার তাদের জন্য নয়।'