২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ। যা আজ শেষ হচ্ছে। পালন করছে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ। আজ, শনিবার পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ শেষ উপলক্ষ্যে করা হয়েছিল এক বিশেষ অনুষ্ঠান ও ব়্যালির আয়োজন। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৬টি স্কুল, মোট ৮০০ ছাত্র– ছাত্রী, ৩০টি সার্জেন্ট মোটরবাইক এবং ১৩টি ট্যাবলো।
নগরপাল বিনীত গোয়েল।
সামনে লোকসভা নির্বাচন। যদিও এখনও নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশনার। তবে খুব শীঘ্রই তা প্রকাশিত হবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মিটিং–মিছিল–প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রত্যেক রাজনৈতিক দল। এটাই আরও বাড়বে। যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে। এমন আবহে কলকাতা শহরেও সেই ছবি দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই দেখা যেতে শুরু করেছে। তবে সেটা আরও বড় আকার নেবে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় মিটিং–মিছিলের জন্য তাই নতুন পরিকল্পনা করছে কলকাতা পুলিশ। যা আজ, শনিবার জানালেন নগরপাল বিনীত গোয়েল।
এদিকে ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ। যা আজ, শনিবার নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হচ্ছে। সেটাই পালন করছে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ। আজ, শনিবার পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ শেষ উপলক্ষ্যে করা হয়েছিল এক বিশেষ অনুষ্ঠান ও ব়্যালির আয়োজন। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৬টি স্কুল, মোট ৮০০ ছাত্র–ছাত্রী, ৩০টি সার্জেন্ট মোটরবাইক এবং ১৩টি ট্যাবলো। অনুষ্ঠানের শেষে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সকল ছাত্রছাত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘সকল স্কুলপড়ুয়া আগামী দিনে অন্তত ১০ জন পথচারীকে ট্রাফিকের পাঠ দিক। তাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।’ এই বিশেষ র্যালি ভিক্টোরিয়া নর্থ গেট থেকে শুরু হয়ে গোটা ভিক্টোরিয়া পরিক্রমা করে আবার নর্থ গেটে শেষ হয়।
অন্যদিকে নগরপাল বিনীত গোয়েল এদিন পুলিশ ব্যান্ডের গার্ড অফ অনার নেন। এই পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজন করা বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য এবং চিত্র তারকা প্রিয়াঙ্কা সরকারও। বিনীত গোয়েলকে মিটিং মিছিলের জন্য কলকাতায় কোনও জায়গার ব্যবস্থা করা হবে কিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ট্র্যাফিক নিয়ে কলকাতা পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিশ্বের অনেক শহরে পথ দুর্ঘটনা বাড়ছে। কলকাতায় একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে। মিটিং–মিছিলের বিষয়ে আমরা আগেই ভেবেছি। এমনিতেও শহরের একটা নির্দিষ্ট রুট দিয়েই মিটিং মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়। মানুষের আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে মিটিং মিছিল নিয়ে।’
এছাড়া কলকাতা পুলিশের হাফ ম্যারাথনে বিপত্তি হয়। তোরণ ভেঙে পড়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আহত হন। এই বিষয়টি নিয়েও বক্তব্য রাখেন নগরপাল। তাঁর কথায়, ‘দমকা হাওয়ার চোটে ফিনিশিং পয়েন্টের গেট ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল সিপি–১ মুরলিধর শর্মা। সেই ঘটনার পরেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গেট ভেঙে পড়ার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’ তবে মিটিং মিছিলের জন্য পৃথক পথের ভাবনা নতুন দৃষ্টিকোণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনুমতি পেতে অসুবিধা হবে না শাসক–বিরোধী সবপক্ষকেই।