আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন এই নারকীয় ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। এই আবহে আজ, সোমবার সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। আজ জরুরি ভিত্তিতে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, আজ বিকেলেই নয়াদিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। কিন্তু কেন যাচ্ছেন? সেটা গোপন রাখা হয়েছে।
আজ রাখির দিনে বোনেদের–দিদিদের রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে ভাই–দাদাদের। কারণ আজ রাখিবন্ধন উৎসব। নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তির হাতে রাখি পরিয়ে একে অপরের হাত ধরে মানব বন্ধন করেন আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়ারা। মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে শুধু জুনিয়র ডাক্তার নয়, নার্স, সিনিয়র ডাক্তার, রোগীর পরিবারের লোকেরা ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যপালের। ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। আর সোমবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছে রাতেই বা মঙ্গলবার সকালে রাজ্যপাল বৈঠক করবেন অমিত শাহের সঙ্গে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: এবার ‘পেঁয়াজ গোলা’ তৈরি করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার, সংরক্ষণ করতে নয়া পদক্ষেপ
এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাস্তায় নেমেছিলেন। দোষীর ফাঁসি চাই স্লোগান তুলেছিলেন। আর আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় আন্দোলনকে সমর্থন করেও কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন চিকিৎসকদের। তারপরও লাভ হয়নি। আর এখন এমন একটা ইস্যু পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে বিজেপি। সেই কাজটি এবার এগিয়ে দিতে সেতুর আজ করছেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। অথচ পূর্বে উন্নাও, হাথরাস, লখিমপুর খেরি, বিলকিস বানো এবং এখন উত্তরাখণ্ডে নার্সকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি রাজ্যপালের কাছ থেকে।