আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও তদন্ত করছে সিবিআই। তাই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন সিবিআই হেফাজতে। সেখানে তাকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্সি জেলে ঢুকেই কারারক্ষীদের হাতজোড় করে আর্জি জানায় অভিযুক্ত সঞ্জয়। আর তাকে শান্তিতে ঘুমোতে দেওয়ার আবেদন করে বলে সূত্রের খবর।
এবার পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে সঞ্জয় রায়ের। এই পরীক্ষায় সম্মতির বিষয়ে বিচারক তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। সঞ্জয়ের জবাব ছিল, ‘আমি নির্দোষ। আমি কিছু করিনি। আমাকে নিশানা করা হয়েছে। এই পরীক্ষা হয়তো তার জন্য। আমি যে নির্দোষ এই পরীক্ষায় হয়তো তা প্রমাণ হবে।’ কিন্তু শিয়ালদা আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েই ভোলবদলে যায় সঞ্জয়ের। আদালতে তাকে চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছিল। আর জেলে তাকে অনুরোধ করতে দেখা গিয়েছে। এক কারারক্ষী সূত্রে খবর, সঞ্জয় তাঁকে ডেকে বলেছে, ‘জেরায় জেরায় আমি খুব ক্লান্ত। আমাকে খেতে দিতে হবে না। শান্তিতে একটু ভাল করে ঘুমোতে দিন।’
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের নোটে গণধর্ষণের উল্লেখ নেই, শিয়ালদা আদালতে দেওয়া তথ্যে চমক
এই কথা শুনে কারারক্ষী বেশ চমকে যান। সন্ধ্যার সময় হঠাৎ কোনও আসামী এমন কথা বলতে পারে তা ভাবতেও পারেননি ওই কারারক্ষী। কড়া নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে সঞ্জয়কে। জেল কর্মীদের হাতজোড়া করে শান্তিতে ঘুমনোর আর্জি সেলেই শুধু করেনি সঞ্জয়। বরং প্রেসিডেন্সি জেলে ঢোকার পরও তা করেছিল ধৃত। সিবিআই এবং সিট দু’জনেরই দাবি, সঞ্জয় আগে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং কিছু সরঞ্জাম হাতে এসেছে। এই সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে সঞ্জয়ের দেওয়া বয়ানের মিল পাওয়া যায়নি। এই মূল অভিযুক্তকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাহলে সিবিআই করল কী? উঠছে প্রশ্ন।