RG Kar Case Verdict LIVE: গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইমারজেন্সি ভবনের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। জানা যায়, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে সেই তরুণী চিকিৎসককে। আজ সেই মামলায় রায়দান করল শিয়ালদা আদালত। তাতে দোষী সাব্যস্ত করা হল সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত ৪ নভেম্বর এই মামলায় আদালতে চার্জ গঠন করেছিল সিবিআই। ১১ নভেম্বর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। আর গত ৯ জানুয়ারি তা শেষ হয়েছিল।
আরজি কর মামলায় রায় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘শুরুটা ভালোই হল। এসব ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হয়ে থাকে। তবে এটা আংশিক।বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় একা নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত।’
আরজি কর মামলায় রায়দানের পর নির্যাতিতার বাবা বললেন, 'আপনার উপর যে আস্থা রেখেছিলাম, তার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই।' তিনি কাঁদতে কাঁদতে বিচারককে ধন্যবাদ জানালেন নির্যাতিতার বাবা।
আরজি কর রায় নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ সব শক্তি দিয়ে তদন্ত করছিল। সেখানেই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু বাম, কিছু অতিবাম, কিছু অন্ধ তৃণমূল বিরোধী, একাংশের চিকিৎসক যেভাবে মানুষের আবেগকে বিপথে চালিত করছিলেন তাতে আজকের রায় প্রমাণ করল কলকাতা পুলিশের তদন্ত সঠিক পথে ছিল। মাঝপথে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কলকাতা পুলিশের তদন্তে মান্যতা পেয়েছে।’
আজ ১২ মিনিটের শুনানিতে সঞ্জয় রায়কে বিচারক বলেন, 'শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে।' এদিকে সিবিআইয়ের পেশ করা প্রমাণে বিচারক সন্তুষ্ট বলে জানান। সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা হতে পারে। আর সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে তার। বিএনএস-এর ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের সময় এমন আঘাত করা যাতে মৃত্যু হতে পারে), ১০৩ (১) (খুন) ধারায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ভারতীয় ন্যয় সংহিতার তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রায়। এদিকে সঞ্জয় রায় আদালতে আজ বলে, তাকে আইপিএস অফিসাররা যা যা বলেছিলেন, সেটাই সে বলেছে। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ সঞ্জয়ের। এর পাশাপাশি সঞ্জয়ের দাবি, তার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। ধর্ষণ করলে তা ছিঁড়ে পড়ল না কেন?
18 Jan 2025, 02:31 PM ISTআরজি কর মামলায় রায় শোনালেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঞ্জয় রায়কে দোষীসাব্যস্ত করল শিয়ালদা আদালত। সঞ্জয় রায়কে ফাঁসির নির্দেশ শোনানো হবে কি না, তা সোমবার জানাবে আদালত।
আদালতের এজলাসে চলে এসেছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। আর কিছুক্ষণ বাদেই আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এদিকে কোর্ট লকআপে সঞ্জয় রায়। এদিকে আদালত ভবনের বাইরে ডাক্তাররা লিফলেট নিয়ে প্রতিবাদে সামিল।
18 Jan 2025, 02:12 PM ISTকয়েক মাস ধরে আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে হয়েছে আরজি কর মামলার শুনানি। তবে আজ ওপেন কোর্টেই রায়দান করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী। ইতিধ্যেই আদলত কক্ষে পৌঁছে গিয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা।
জোরালো নিরাপত্তা শিয়ালদা কোর্টে। আদালত চত্বরে প্রায় ২০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন আছেন। দুজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার আছেন সেখানে। এছাড়া আছেন তিনজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, আটজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার, ১৫ জন সাব-ইনস্পেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর ২০ জন, ৫৫ জন মহিলা পুলিশ ও ৮০ জন কনস্টেবল।
18 Jan 2025, 01:38 PM ISTনির্যাতিতার বাবা বললেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন, রাত ২টো পর্যন্ত জেগে নজর রেখেছিলেন। তাঁর কী আগ্রহ ছিল এতে… জানতে চাই। তথ্যপ্রমাণ যে লোপাট হয়েছে, সেটা সিবিআই বলেছে। শুধু সিভিক নয়, সব দোষী সামনে আসবে।'
অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কে নিয়ে আসা হল শিয়ালদা কোর্টে। এর আগেই বিচারক এবং সব পক্ষের আইনজীবী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। আর কিছুক্ষণেই রায়দান হবে এই মামলায়।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আজ রায় হবে মানে বিচার শেষ হয়ে যাবে না। আশা করছি রাজনৈতিক রং ছাড়া এর আগে যেমন ভাবে মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন, এরপরেও তাঁরা থাকবেন।’
নির্যাতিতার আইনজীবী অমর্ত্য দে রায় বলেন, 'নির্যতিতার আত্মাকেও হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে বা যাঁরা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেককেই যেন আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়।'
18 Jan 2025, 12:44 PM ISTআরজি কর কাণ্ডের রায় প্রসঙ্গে এদিন সকালে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁর মা বাবা। তাঁরা বলেন, বিচারক যা রায় দেবেন তারা মেনে নেবেন কিন্তু সবচেয়ে বড় দোষী বিনীত গোয়েল। বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন এখানে
পৌঁছে গিয়েছেন শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। এছাড়াও সব পক্ষের আইনজীবীরাই পৌঁছেছেন আদালতে।
18 Jan 2025, 11:55 AM ISTধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের আইনজীবী কবিতা সরকার শিয়ালদা আদালতে পৌঁছে গিয়েছেন। অপরদিকে শনিবার দুপুরে শিয়ালদা আদালত চত্বরে জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তারেরা। দুপুর ১টা নাগাদ সেই জমায়েত হবে।
শিয়ালদা আদালতে আজ সকাল থেকেই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত জোরদার করেছে কলকাতা পুলিশ। মনে করা হচ্ছে আজ আদালত চত্বরে ভিড় করতে পারেন অনেকে। সেই কারণেই আগেভাগে এই নিরাপত্তা।
18 Jan 2025, 09:47 AM ISTনির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, 'যা যা প্রমাণ ছিল, তা হারিয়ে গিয়েছে বা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল যখন অপরাধের জায়গায় গিয়েছিলেন, তখন প্রচুর লোকজন ওখানে ছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল যে ওটা মাছের বাজার। যাদের অপরাধের জায়গায় দেখা গিয়েছে, তাদের সকলকে শাস্তি দিতে হবে।'
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘সঞ্জয় (ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, তাকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিবিআই) দোষী। আদালতে যে রায় দেওয়া হবে, সেটা ওর বিরুদ্ধে যাবে। কিন্তু অন্য অপরাধীদের কী হবে? যাদের এখনও ধরা হয়নি। আমি ওদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখছি। ওদের আমি হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। অর্থাৎ তদন্ত এখনও অর্ধেক হয়েছে।’
18 Jan 2025, 09:11 AM ISTতদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট নির্যাতিতার মা-বাবা। রায়দানের আগের রাতে তাঁরা বলেন, 'সিবিআই কোনও কাজই করেনি। সিএফএসএল বলছে ঘটনা সেমিনার রুমে ঘটেনি। সিবিআই ধৃত সিভিক একাই দোষী বলে দেখাচ্ছে। সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। যদিও তারা কতটা সফল হবে সেটা আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে।'
সব অভিযোগ, তথ্যপ্রমাণ পেশ, পালটা দাবির মাঝে গত ৯ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়। আর আজ এই মামলার রায়দান আর কিছুক্ষণের মধ্যে।
18 Jan 2025, 08:23 AM ISTএছাড়া সিবিআইয়ের তরফ থেকে চার্জশিটে বলা হয়েছিল, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতার অন্তর্বাস পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে তা জোরজবরদস্তি খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল, যার জেরে তা ছিঁড়ে যায়। এদিকে অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে এ রকম কোনও প্রমাণ মেলেনি যে, তিনি সঙ্গমে অক্ষম। ঘটনাস্থল থেকে লালারস মিলেছিল, তা ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারেরই।
চার্জশিটে উল্লেখিত চতুর্থ প্রমাণ হল, সঞ্জয়ের বাজেয়াপ্ত পোশাকে রক্তের দাগ মিলেছে। এদিয়ে পঞ্চম প্রমাণ হল ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছোট ছোট চুল। সেগুলি সঞ্জয়ের বলে জানিয়েছে সিবিআই। ষষ্ঠ প্রমাণ ব্লুটুথ ইয়ারফোন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়। সেটি সঞ্জয়ের ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল বলে জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। সঞ্জয়ের শরীরে মেলা ক্ষতচিহ্ন হল সপ্তম প্রমাণ। অভিযুক্তের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে, সেগুলি নির্যাতিতার প্রতিরোধের ফলেই তৈরি হয়েছিল।
18 Jan 2025, 08:09 AM ISTএদিকে সিবিআই চার্জশিটে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ আছে? চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ প্রথম প্রমাণ, যা থেকে জানা গিয়েছে, গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় গিয়েছিল সঞ্জয় রায়। সঞ্জয়ের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দ্বিতীয় প্রমাণ। তা নিশ্চিত করেছে যে সেই রাতে সঞ্জয় আরজি করেই ছিল। এদিকে তৃতীয় প্রমাণ হল ডিএনএ। খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহে মেলা ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে সঞ্জয়ের ডিএনএ।
এর আগে সঞ্জয় দাবি করেছিল, সরকার তাকে ফাঁসাচ্ছে। এমনকী তার আরও অভিযোগ, ডিপার্টমেন্ট তাকে ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেছে। এরই মাঝে সম্প্রতি এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার মা-বাবা জানিয়েছেন, এই ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে প্রমাণ লোপাট হয়েছে। এবং এই ঘটনায় একা সঞ্জয় রায় দোষী বলে তারা বিশ্বাস করেন না।
18 Jan 2025, 07:23 AM ISTআর কয়েক ঘণ্টা বাকি। তারপরই আরজি কর মামলায় রায় শোনাবে শিয়ালদা আদালতে। এই আবহে গত কয়েকদিন ধরে কীভাবে দিন কেটিয়েছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়? এই নিয়ে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সঞ্জয় রায়কে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ সেলে রাখা হয়েছে। এদিকে সঞ্জয় রায় নাকি খাওয়া-দাওয়া খুবই কমিয়ে দিয়েছেন। এদিকে ওষুধও নাকি খাচ্ছে না সঞ্জয়।
আরজি কর মামলায় শিয়ালদা আদালতে মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। সিবিআই ধৃত সঞ্জয়ের 'ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট' বা মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত সঞ্জয়কে ফাঁসি দেয় কি না, সেদিকে নজর সবার।
18 Jan 2025, 07:00 AM ISTতদন্ত করে সিবিআই সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট পেশ করে। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার চার্জ গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর। এই আবহে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর প্রায় ২ মাস আর সেই নৃশংস ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
কলকাতা পুলিশের পথে হেঁটেই সিবিআই দাবি করে সঞ্জয় রায়ই এই মামলায় একমাত্র দোষী। এর আগে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে ধরেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে।
18 Jan 2025, 06:53 AM ISTএরই মাঝে সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে লালবাজার অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান। ১৪ সেপ্টেম্বর সেই অবস্থান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন। ১৬ সেপ্টেম্বর বিনীতকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই সবের মধ্যেই ৫ অক্টোবর ধর্মতলায় কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার ‘আমরণ অনশন’ শুরু করেন। এর মাঝে ১৪ অগস্ট সহ একাধিক রাত দখলের কর্মসূচি পালিত হয় কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।
এই ঘটনাপ্রবাহে গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১০ অগস্ট গ্রেফতার করা হয় ধর্ষণ এবং খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল সঞ্জয়। এরপর ১৩ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ১৮ অগস্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা শুনবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
18 Jan 2025, 06:32 AM ISTএদিকে আরজি কর কাণ্ডের জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টেও। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলে। শীর্ষ আদালতের নজরদারি সিবিআই তদন্ত চলে এই খুনের ঘটনায়। বন্ধ খামে তদন্তের গতিবিধি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে অভিহিত করতে থাকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। গ্রেফতার হন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। যদিও অভিজিৎ এবং সন্দীপের বিরুদ্ধে এখনও চার্জশিট দেয়নি সিবিআই। এই আবহে অভিজিৎ ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন জামিনে। দুর্নীতির মামলায় এখনও জেলে আছেন সন্দীপ।
এই আরজি কর কাণ্ডের জেরে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসকরা প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলে এই ঘটনার প্রতিবাদে। চাপের মুখে সরকারকে পুলিশ কমিশনার বদল করতে হয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার বৈঠকে বসতে হয়েছিল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। উঠেছে রাজনীতির অভিযোগ। উঠেছে প্রভাব খাটিয়ে প্রমাণ লোপটের অভিযোগ। এই সবের মাঝেই তদন্ত এগিয়েছে এই মামলায়।
18 Jan 2025, 06:04 AM ISTশনিবার দুপুর ২ টো ৩০ মিনিটে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায়দান করবে শিয়ালদা আদালত। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। অন্যদিকে আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়াও আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন।
২০২৪ সালের ৯ অগস্ট, আজ থেকে ৫ মাস ৯ দিন আগে কলকাতা তথা বাংলা সহ গোটা দেশ হতবাক হয়ে গিয়েছিল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেও ও হাসপাতালের ইমারজেন্সি ভবনের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। প্রাথমিক ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ ওঠে সেই সময়। পরে জানা যায়, নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে সেই তরুণী চিকিৎসককে। আজ সেই মামলায় রায়দান করবে শিয়ায়লদা আদালত।
6,000.000+downloads/Free/Bengali/Version2.3.4
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
