আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে আবারও শুরু হল বিতর্ক। আর, এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি ব্লকের আটতলার অর্থোপেডিক বিভাগের অপারেশন থিয়েটার বা ওটি রুম।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই অপারেশন থিয়েটার বা ওটি রুমের দরজায় তালা আটকে তা 'সিল' করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কিন্তু, কেউ বা কারা সেই 'সিল' ভেঙে ওটি রুমের ভিতরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ!
বিষয়টি নজরে আসতেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, তদন্তের স্বার্থেই নিশ্চয় ওই ঘর 'সিল' করে গিয়েছিল সিবিআই। সেই তদন্ত কি শেষ হয়ে গিয়েছে পুরোপুরি? হয়ে গেলে নিশ্চয় সিবিআই-এর পক্ষ থেকে তা জানানো হত। কিন্তু, তেমন কিছু তো হয়নি। তাহলে ওটি রুমের সিল ভাঙা হল কেন? এই ঘটনায় ফের একবার প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, আরজি করের এই ক্যাজুয়াল্টি ব্লকেরই চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল নিহত তরুণী চিকিৎসকের দেহ।
ইতিমধ্য়েই সংবাদমাধ্যমে আরজি কর হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি ব্লকের আটতলার অর্থোপেডিক বিভাগের অপারেশন থিয়েটার বা ওটি রুমের দু'টি দরজার ছবি সম্প্রচারিত করা হচ্ছে। তার মধ্যে একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, ওটি রুমের ঢোকা ও বেরোনোর যে দরজাটি রয়েছে, তার তালা পুরোপুরি সিল করা অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু, অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেই দরজায় কোনও সিল নেই! কীভাবে এই কাণ্ড ঘটল, তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে যাঁরা এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। সিবিআই-এর ধীর গতির তদন্ত, আদালতে মামলার শুনানি-সহ নানা বিষয় নিয়েই তাঁরা বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করে এসেছেন। এবার, একইভাবে সিবিআই-এর লাগিয়ে যাওয়া তালার সিল ভাঙা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
সংবাদমাধ্যমের একাংশের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন প্রতিবাদী আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল ওই ওটি রুম। কিন্তু, চলতি মাসে ওই ঘরের মেঝে থেকেই রক্তমাখা গ্লাভস, মাস্ক, ছুরি উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনার পরই সিবিআই ওই ওটি রুম সিল করে দেয়। তাহলে, হঠাৎ করে সেই রুমের সিল ভাঙা হল কেন?