রাম নবমীর মিছিলে অশান্তি এবং তার জেরে হামলার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আর আদালতের নির্দেশেই বেশ কিছুদিন ধরে তদন্তে নেমেছিল এনআইএ। তারপর ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার ওই অশান্তির ঘটনায় আরও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। এই ১১ জন ওই অশান্তি–হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে এনআইএ’র দাবি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার কাজে এরা সরাসরি জড়িত ছিল বলে এনআইএ প্রমাণ পেয়েছে।
এদিকে বিবৃতি দিয়ে এনআইএ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া সকলেই হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা। ধৃত ব্যক্তিরা হল—শামীম আহমেদ, বলওয়ান্ত সিং, মেহমুদ আলম, মেহফুজ আলম ওরফে সোনু, শামশাদ আলম ওরফে দানিশ, মহম্মদ আলি ওরফে সুরাজ, সেলিম জাভেদ ওরফে জাওয়াদ, সরফরাজ আলম ওরফে লালন, ফিরোজ খান, মহম্মদ সমীর আনসারি ওরফে রাজ এবং সামশাদ হুসেন ওরফে সামশাদ আলি। হাওড়ার শিবপুরে রামনবমীর মিছিলে এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট গোটা ঘটনার তদন্ত করছিল। তবে মামলা হওয়ায় সেই তদন্তভার চলে যায় এনআইএ’র হাতে।
আরও পড়ুন: মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল লোকপাল, ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে রিপোর্ট
অন্যদিকে এই গ্রেফতারের আগে এই ঘটনার তদন্তে নেমে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। আর আজকের পর মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চলাকালীন ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে পান তদন্তকারীরা। সেখানে সকলকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর শুরু হয় গ্রেফতার। ২০২৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এবার গ্রেফতার করা হল ১১ জনকে। এই ১১ জন হাওড়ারই বাসিন্দা। রাজ্য পুলিশ অবশ্য এই ঘটনায় ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামনবমীর জন্য ছুটি ঘোষণা করেছেন।