পাকিস্তানের হেফাজতে সুস্থ রয়েছেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বিএসএফের ডিজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা পরিবারটির সঙ্গে প্রথম দিন থেকে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রেখে চলেছি।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনেক পরে ঘুম ভেঙেছে। আমরা প্রথম দিন থেকে পরিবারটির সাথে আছি। আমাদের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং গিয়েছেন। ওনার বাবা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আজকে সকালেও বিএসএফের ডিজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিএসএফের ডিজি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে। ওনাদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছেন। উনি সুস্থ আছেন। ওনার কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা বিএসএফ তারা এবিষয়ে যথেষ্ট কাজ করছেন।’
বাংলাদেশি বাহিনীর হাতে আটক কোচবিহারের কৃষকের মুক্তির ব্যাপারেও তাঁরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানান শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘শীতলখুচির উকিল বর্মনের ব্যাপারেও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তাকেও ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বলে রাখি, গত রবিবার ফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় পূর্ণম কুমার সাউয়ের স্ত্রী রজনীদেবীর। ফোনে রজনীদেবী বলেন, ‘আমার স্বামীই কার্যত পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন। তিনিই সপ্তাহে সপ্তাহে টাকা পাঠাতেন। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ। ফলে আমাদের কাছে কার্যত কোনও টাকা নেই।’ একথা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিএসএফ যে ব্যাপারটা দেখবে না এটা বুঝতে পারিনি। দেখছি আমি অন্য কোনও সোর্স কাজে লাগাতে পারি কি না।’