নারী সুরক্ষায় রাজ্য সরকারের ‘অপরাজিতা (নারী অধিকার সুরক্ষা) বিল ২০২৫’ নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল। রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়া এই বিল সম্প্রতি ফেরত পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। জানা গিয়েছে, বিলের যৌক্তিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সরাসরি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে। আর সেই ব্যাখ্যা চাওয়ার মধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাষ্ট্রপতির এই পদক্ষেপ কি আইনি প্রক্রিয়ার অঙ্গ, না কি নারী সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজনৈতিক মতভেদ?
আরও পড়ুন: ধর্ষণে 'বড্ড কঠোর শাস্তি….', কেন মমতার অপরাজিতা বিলে আপত্তি কেন্দ্রের? তৃণমূল বলল…
রাজভবন সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ‘নির্ভয়া আইন’-এ ধর্ষণ ও নারীর উপর নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে। সেখানে আবার নতুন করে কেন প্রয়োজন হল রাজ্য আইনের? সেই কারণেই ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় রাজ্যপালের কাছে। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল বিলটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছিলেন।
২০২৪ সালের অগস্ট মাসে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণ চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। ‘রাত দখল’ কর্মসূচি থেকে চিকিৎসক সমাজের সক্রিয়তা, সব মিলিয়ে রাজ্য সরকার প্রবল চাপের মুখে পড়ে। ঠিক তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ রুখতে আনা হবে একটি নতুন কড়া আইন। সেই ভাবনাতেই সেপ্টেম্বর মাসে বিশেষ অধিবেশন ডেকে পাশ করানো হয় 'অপরাজিতা বিল'।