বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Power Cut in Kolkata: কারেন্ট অফ নিয়ে যেন আর কোনও অভিযোগ না আসে, CESC-কে তুমুল ভর্ৎসনা বিদ্যুৎমন্ত্রীর
পরবর্তী খবর
Power Cut in Kolkata: কারেন্ট অফ নিয়ে যেন আর কোনও অভিযোগ না আসে, CESC-কে তুমুল ভর্ৎসনা বিদ্যুৎমন্ত্রীর
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 19 Jun 2023, 07:44 PM ISTAyan Das
যে এলাকায় সিইএসসির বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়, সেখানে সচরাচর কারেন্ট যেত না। কিন্তু এবার সেই ছবিটা পুরোপুরি পালটে যায়। যখন থেকে গরম বেড়েছে, তখন থেকেই লোডশেডিংয়ের ‘রোগ’ শুরু হয়েছে। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা, রাত- কার্যত যেন নিয়ম করে কারেন্ট যাচ্ছে। তা নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
লাগাতার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য এবার রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিইএসসি। সূত্রের খবর, সোমবার বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। সেই বৈঠকে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কেন বারবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বারবার কারেন্ট চলে যাচ্ছে, তা জানতে চান। আগামিদিনে যাতে লোডশেডিং না হয়, সেজন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। সেইসঙ্গে রীতিমতো কড়া ভাষায় সিইএসসি আধিকারিকদের তিনি জানান, ভবিষ্যতে যেন কারেন্ট অফ নিয়ে তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ জমা না পড়ে।
এমনিতে যে এলাকায় সিইএসসির বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়, সেখানে সচরাচর কারেন্ট যেত না। কিন্তু এবার সেই ছবিটা পুরোপুরি পালটে যায়। যখন থেকে গরম বেড়েছে, তখন থেকেই লোডশেডিংয়ের ‘রোগ’ শুরু হয়েছে। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা, রাত- কার্যত যেন নিয়ম করে কারেন্ট যাচ্ছে। জুনের প্রথম সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। অস্বস্তিকর গরমের মধ্যে যখন মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছে, তখন ঝুপ করে কারেন্ট চলে গিয়েছে। প্রায় নিত্যদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কারেন্ট চলে যাচ্ছে। সেটা স্রেফ একদিন বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে না, ভুক্তভোগীদের দাবি, বিষয়টি কার্যত দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে।
সেই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সিইএসসির উপর ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন। গত এক সপ্তাহে এক নেটিজেন কার্যত রোজ সকালে বা রাতে ফেসবুকে পোস্ট করে বলতেন যে ফের কারেন্ট চলে গিয়েছে। সেইসঙ্গে তাপমাত্রা কত ছুঁয়েছে, সেই ছবিও পোস্ট করতে থাকেন। এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘ধিক্কার জানাই সিইএসসিকে, টাকা নেওয়ার বেলা বেশি রেটে গ্যাঁট ভরে নাও, আর সার্ভিস যত পার, বাজে দাও।’ এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘CESC-র বিরুদ্ধে আমাদের সকলের প্রতিবাদ করা উচিত। রোজ রাতে লোডশেডিং। এর থেকে WBSEDCL (পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিগম) এলাকার অবস্থা অনেক ভালো, পরিষেবা দিন-দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।’
যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে মানুষের উপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে সিইএসসি। দিনকয়েক আগে বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, মানুষ যতগুলি এসি ব্যবহারের অনুমতি নিচ্ছেন, তার থেকে বেশি এসি ব্যবহার করছেন। সিইএসসিকে না জানিয়েই বেশি এসি চালানোর ফলে বাড়তি লোড পড়ছে ট্রান্সফর্মারের উপর। তা বিকল হয়ে যাচ্ছে। তার জেরে কারেন্ট অফ হয়ে যাচ্ছে বলে সিইএসসির তরফে দাবি করা হয়।