সন্দেশখালি ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্ট কার্যত তুলোধোনা করল রাজ্য পুলিশকে। শেখ শাহজাহানকে আড়াল করার চেষ্টা করার চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ। কার্যত একথা বলেই রাজ্য় পুলিশকে তুলোধোনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির উপর হামলার নেপথ্য়ে শেখ শাহজাহানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপরই তার খোঁজে চলে তল্লাশি। পরে গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছে শাহজাহান। বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,. হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত না চালানোর জন্য রাজ্য পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া ছিল। তারপরেও মামলার FIR টি সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের এই আচরণেই বোঝা যাচ্ছে তারা পক্ষপাতিত্ব করছে। অভিযুক্তকে আড়াল করার জন্য তদন্তে অযথা দেরি করা হচ্ছে। সে ৫০ দিন পলাতক ছিল। আর সেই অভিযুক্ত এলাকায় ক্ষমতাশালী বলেই পরিচিত। শাসকদলের সঙ্গে থেকে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী সে। রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে আড়াল করার জন্য লুকোচুরি খেলেছে বলে বলা হয়েছে আদালতের তরফে। রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী মানুষ এই শেখ শাহজাহান এমনটাই দাবি করেছে। কার্যত রাজ্য পুলিশের তীব্র সমালোচনা করল হাইকোর্ট। শেখ শাহাজাহানকে পুলিশ আড়াল করছে বলে বার বার অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এবার সেই কথা শোনা গেল হাইকোর্টেও। এদিকে মঙ্গলবারই শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য়ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরে দুঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও খালি হাতে ফিরতে হয় সিবিআইকে। সূত্রের খবর রাতে এনিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ইডি। কীভাবে তদন্তকারী সংস্থাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল সবটা জানিয়েছে ইডি। সব মিলিয়ে শেখ শাহজাহানকে কেন বার বার আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। তারপরই এদিন আর হস্তান্তর করা হয়নি। এমনকী দ্রুত শুনানি চেয়েও আবেদন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। সম্ভবত সেই মামলার শুনানি হতে পারে বুধবার। আর সেই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এখনই হস্তান্তর করা হবে না শেখ শাহজাহানকে। অবশেষে খালি হাতে ফিরতে হল সিবিআইকে। একের পর এক গাড়ি বেরিয়ে গেল। কিন্তু সেই গাড়িতে নেই শেখ শাহজাহান।সেক্ষেত্রে এবার কবে শেখ শাহজাহানকে সিবিআই তাদের হেফাজতে পায় সেটাই এখন দেখার। আপাতত সিআইডি হেফাজতেই রয়েছে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। তাকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার জন্য় সবরকম চেষ্টা করছে সিবিআই। কিন্তু সেটা এদিন সম্ভব হয়নি।