লিভ–ইন পার্টনারকে ইভটিজিং করা হয় বলে অভিযোগ। আর তারই প্রতিবাদ করে ওঠেন ওই যুবক। এই প্রতিবাদ করার জেরে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। স্থানীয় কয়েকজন যুবক বাঁশ–লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। যার জেরে ওই যুবক রক্তাক্ত হয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার মাঝরাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগর এলাকায়। আর এই মারধরের জেরে আজ, বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সংকেত চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেশায় আইটি কর্মী। গৌরাঙ্গনগর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে প্রেমিকার সঙ্গেই লিভ–ইন সম্পর্কে তিনি থাকতেন। বুধবার মাঝরাতে তাঁদের মধ্যে বচসা বাঁধে। তার জেরে তরুণী বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। তখন রাস্তায় কয়েকজন তাঁকে হেনস্তা করে। সেটা দেখতে পেয়েই প্রতিবাদ করেন সংকেত। তখনই ওই যুবকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় প্রেমিকের। আর ওই যুবকরা বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে সংকেতকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তরুণীর চিৎকারে ছুটে আসেন কয়েকজন। তখন তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আর ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ‘২৬০টা মুন্ডু চাই’, বিধানসভার বাইরে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে প্রতিশোধের ডাক শুভেন্দুর
অন্যদিকে মৃত যুবক সংকেতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দেড় বছর ধরে সংকেত তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে গৌরাঙ্গনগরের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। বুধবার মাঝরাতে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেটাই অশান্তির পর্যায়ে পৌঁছলে মাঝরাতে সংকেতের লিভ–ইন পার্টনার ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে রাস্তায় যান। তখন কয়েকজন যুবক ওই যুবতীকে কুরুচিকর মন্তব্য করে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। আর সেটারই প্রতিবাদ করতেই সংকেতকে প্রথমে ঘিরে ধরে পেটাতে শুরু করে। তারপর বাঁশ দিয়ে পেটানো শুরু হয়।