রাস্তাঘাটে অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজানোর প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। যানজটে হর্নের আওয়াজে কান ফেটে যায় সাধারণ মানুষের। গাড়ির হর্নে এত বেশি শব্দ হয় যে কানে বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি হতে পারে। অনেকে আবার আওয়াজ বাড়ানোর জন্য গাড়ির হর্ন পরিবর্তন করে নেন। কেউ কেউ গাড়ির শব্দ বাড়ানোর জন্য বদল করেন এক্সহস্ট। অনেকেই আবার বাইকের সাইলেন্সারেও আওয়াজ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করেন এক্সহস্ট। যার ফলে রাস্তাঘাটে সমস্যায় পড়তে হয় পথ চলতি মানুষকে। এবার কোনও গাড়ি থেকে শব্দদূষণ হলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। রাজ্যের পরিবেশ দফতরকে এই নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত এ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই সময় শব্দদূষণ রোধে রাজ্যকে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল পরিবেশ দফতর। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। পরিবেশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গঠিত টাস্ক ফোর্সকে শব্দদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পরিবেশ আদালতের মন্তব্য, শুধুমাত্র ব্যবস্থার আয়োজন করাটাই যথেষ্ট নয়। সেই ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ করছে কিনা, নির্দিষ্ট সময় অন্তর তার মূল্যায়নেরও প্রয়োজন রয়েছে। অন্ততপক্ষে ছ’মাস অন্তর শব্দদূষণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মূল্যায়ন করা দরকার বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শব্দদূষণ সংক্রান্ত মূল মামলাটির নিষ্পত্তি করে দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। শব্দবিধি পালনের জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও একই ভাবে শব্দদূষণ হচ্ছে বলে ফের ২০২১ সালে পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করেন সুভাষ দত্ত।