দু’দিন আগেই নবান্ন সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন, অকাল বৃষ্টি এবং ডিভিসি’র জল ছাড়ার জেরে আলু চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই ন্যায্য সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে ৯০০ টাকা করা হচ্ছে। এই ঘোষণার পর কৃষকদের মধ্যে একটু স্বস্তি ফিরেছিল। তবে প্রশ্ন ছিল, সহায়তা কবে মিলবে? এবার রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যা এখন প্রকাশ্য আসায় যেটুকু সংশয় ছিল কৃষকদের মনে সেটা কেটে গেল। সুতরাং শুধু সহায়ক মূল্য বাড়িয়েই থেমে থাকল না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কথারও প্রত্যক্ষ প্রতিফলন দেখা গেল।
এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ন্যায্য সহায়ক মূল্য তো পাবেই কৃষকরা। তার সঙ্গে রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি আলু কিনেও নেবে। আর এই জ্যোতি আলু কেনার সময় সীমা ১ মার্চ থেকে শুরু হবে। কেনার বিষয়টি চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ফলে প্রত্যেক জেলা থেকে কৃষকরা রাজ্য সরকারকে আলু বিক্রি করে দিতে পারবে। ফসল নষ্ট হওয়ার যে ভয় সেটা থাকবে না। এমনকী জলের তলায় চলে যাওয়া ক্ষেত থেকে আলু তুলেছেন যে সব কৃষকরা তাঁরাও তা রাজ্য সরকারের কাছে বিক্রি করে অর্থ পেয়ে যাবেন। তবে ১১ লক্ষ টন আলু কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার বেশি নয়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের কৃষি দফতর।
আরও পড়ুন: ‘খেলা আবার হবে, ২০২৬ সালের খেলায় আরও জোরে মারতে হবে’, নিদান দিলেন মমতা