আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত কেন সরকারকে না জানিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে তা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মিটিংয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি দাবি করলেন, আপনি নিজেই ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করে দিলেন? আপনি স্বাস্থ্য দফতরকে সেটার প্রস্তাব পাঠালেন না কেন? সেখান থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিতাম। এটা থ্রেট কালচার নয়? প্রশ্ন মমতার।
মমতা প্রিন্সিপালদের বলেন, তোমরা ফাইনাল ডিসিসন নিতে পারো না।
কেন সাসপেন্ড করার আগে সরকারের ওপর মহলে জানানো হয়নি তানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পালটা কার্যত মুখ্য়মন্ত্রীকে থামিয়ে জবাব দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, আরজি করের প্রিন্সিপাল যিনি ছিলেন তার রুমে যাওয়ার জন্য আমাদের ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হত।
মমতা বলেন, আমাদের জানাননি কেন?
জুনিয়র ডাক্তাররা পালটা বলেন, কতবার জানাবো! অজস্র বার অভিযোগ জানিয়েছি। কেউ কিছু করেনি।
জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, ধর্ষকদের পাশে, নটোরিয়াস ক্রিমিনালের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারব না। ওরা নটোরিয়াস ক্রিমিনাল তোলা তোলে। আমরা বার বার এই কথাটা বলছি।
এরপরই কার্যত অস্বস্তিতে পড়েন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, আরজি কর নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কার্যত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে সাপোর্ট করার প্রশ্ন নেই.. ধর্ষকদের পাশে আমিও নেই। প্রশাসনের ব্যাপারে তুমি নাক গলাতে পারো না…