এইসব রাজ্যে এবার জিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করে দিয়ে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলিই এবার নির্বাচনের প্রচারে নিয়ে আসা হবে। ক্ষমতায় এসে তারা কোন কোন প্রকল্প রাজ্যে চালু করেছে। তাতে কত মানুষ উপকৃত হচ্ছে–সহ নানা বিষয়। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগ সামনে নিয়ে আসা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলাকে বঞ্চনার কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ANI Photo)
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যেক অ–বিজেপি রাজ্যে নতুন করে একটি বিষয় প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে চলেছে। তাতে যদি ভোটব্যাঙ্কে ধস নামানো যায় তাহলেই আসন বেরিয়ে আসবে গেরুয়া শিবিরের দিকে। এবার তাঁরা প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে চলেছে অ–বিজেপি রাজ্যগুলির রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু না করে মানুষকে বঞ্চিত করে রেখেছে। বাংলার ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে চলেছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু বাংলাতেই একশো দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা এবং গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে চালু করা হয়নি বলে প্রচারে নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি। তবে তার জন্য তারা উদাহরণও তুলে ধরবে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী (প্রাক্তন) ভূপেশ বাঘেল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চালু করেননি। তাই কংগ্রেসকে হারতে হয়েছে সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে। মানুষ খুশি ছিল না বলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করলে মানুষ উপকার পেতেন। আর খুশি থাকতেন। এই বিষয়টি এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তুলে বিরোধী রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হবে। এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে তিন রাজ্যে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘শুধরে যাও’। অর্থাৎ নিজের ভুল শুধরে নিতে বার্তা দিয়েছিলেন এই ভাষাতেই। কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু না করলে অন্যান্য বিরোধী রাজ্যগুলির এমন দশাই হবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন। সেটাই এবার লোকসভা নির্বাচনে বড় আকারে প্রচারে নিয়ে এস ঝড় তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন রাজ্যে জয়ের পর বলেছিলেন, ‘নিজেদের চালচলনে পরিবর্তন আনুন, না হলে মানুষ এভাবেই শিক্ষা দেবে। তিন রাজ্যের ফলাফল বার্তা দিচ্ছে বিরোধী দলগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি চালু করতে এগিয়ে আসুন। বাধা দেওয়া নয়।’
এছাড়া এইসব রাজ্যে এবার জিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করে দিয়ে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলিই এবার নির্বাচনের প্রচারে নিয়ে আসা হবে। ক্ষমতায় এসে তারা কোন কোন প্রকল্প রাজ্যে চালু করেছে। তাতে কত মানুষ উপকৃত হচ্ছে–সহ নানা বিষয়। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগ সামনে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশ চাপের। কারণ বাংলায় প্রকল্প চালু থাকলেও টাকা না দেওয়ায় তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গরিব মানুষ কাজ করে টাকা পায়নি ১০০ দিনের কাজে। আবাস যোজনার তালিকা পাঠানো হলেও সেখানে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। উলটে বাংলায় একাধিক সামাজিক প্রকল্পে মানুষ উপকৃত। সেখানে এবার ঠিক করা হয়েছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দেয়নি রাজ্য। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জবাব দেবে রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প রয়েছে। যাতে মানুষ উপকার পাচ্ছে।