লঞ্চ পরিষেবা ধাক্কা খাচ্ছিল। কারণ মেরামত করা যাচ্ছিল না টাকার অভাবে। তাই সারি দিয়ে লঞ্চ খারাপ হয়ে গঙ্গাতেই পড়ে ছিল। আবার অনেকগুলি লঞ্চে বাতিল হয়ে গিয়েছিল যাত্রী পরিবহণের অনুমতি। সুতরাং বন্ধ হয়ে যায় বেশ কয়েকটি জলপথের রুট। আর তার জেরে রোজগারে টান পড়ে। অর্থাৎ আয় কমে যায়। গত ১০ বছর ধরে টিকিটের যে মূল্য ছিল এখনও একই মূল্য রয়েছে। সুতরাং কোষাগারে চাপ বাড়ে। অবশেষে এই পরিস্থিতি থেকে লঞ্চ পরিষেবাকে অটুট রাখতে বিপুল টাকা দিয়ে পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।
এদিকে টিকিটের দাম বৃদ্ধি না হওয়ায় ক্রমাগত কোষাগার শূন্য হয়ে পড়ছিল হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। কলকাতা–হাওড়ার জলপথ পরিবহণেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মেট্রো চালু হওয়ায় এই পথে আয় কমতে শুরু করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে এই সমবায় সমিতির পাশে এসে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। ওই সংস্থারই পরিচালকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল প্রকৃত সমস্যা। এবার সব ক’টি বসে যাওয়া লঞ্চ মেরামতির জন্য রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন সাহায্য পেয়ে উৎসাহিত জলপথ পরিবহণ সমিতি।
আরও পড়ুন: অর্ধেক দামে সোনা দেওয়ার টোপে পা, বকখালিতে গিয়ে সর্বশান্ত ক্রেতা, গ্রেফতার ২
অন্যদিকে হাওড়া–এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুট চালু হয়েছে। সেখানে ব্যাপক হারে ভিড় হচ্ছে। আর তার জেরে মার খাচ্ছিল জলপথ পরিবহণ। এবার সেজে উঠেছে জলপথে লঞ্চের রুট। তাতে আবার আয় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সমবায় দফতর সূত্রে খবর, ওই সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে ১৯টি লঞ্চ সার্বিক মেরামতের জন্য রাজ্য সমবায় দফতর ও পরিবহণ দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থ দফতর। ইতিমধ্যেই শালিমার শিপ বির্ল্ডাসের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ১৯টি লঞ্চই সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা হবে। গঙ্গায় নামানো হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।