পহেলগাঁও হামলার জেরে ২৬ জনের প্রাণ চলে গিয়েছিল। তারপর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান করে বদলা নেওয়া হলেও পাকিস্তানকে এখনই হালকাভাবে নিতে রাজি নয় কেউই। কারণ পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা তারা আগেও করেছে এবং পরেও করবে বলে গোয়েন্দাদের মত। এই আবহে বাংলা আরও সতর্ক হল। কারণ বাংলার জেলে বহু জঙ্গি বন্দি রয়েছে। আর তাই এবার বড় নির্দেশ দিল লালবাজার। কোনও তথ্য যেন হাত থেকে বেরিয়ে না যায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। এমনকী জেলের ভিতরে জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে এই বিষয়ের রেশ ধরেই জেলবন্দি জঙ্গিদের সঙ্গে কারা দেখা করতে আসছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য থানাগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজার। আর তার জন্য জেলের মধ্যে থাকা ভিজিটার বুক পরীক্ষা করতেও বলা হয়েছে। যারা জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করতে আসছে তাদের পরিচয় জানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এমনকী জঙ্গি সন্দেহে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং আর যারা জামিনে রয়েছে সকলের কার্যকলাপ ও গতিবিধি নজরে রাখতে বলেছে লালবাজার।
আরও পড়ুন: আরজি কর আন্দোলনের মুখ দেবাশিস হালদারের বদলি নিয়ে বিতর্ক, পড়বে ডেপুটেশন
অন্যদিকে কেন এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই। তবে লালবাজার সূত্রে খবর, এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারণ পাকিস্তান মদতপুষ্ট কোনও জঙ্গি সংগঠন গোপনে কাজ করলে যাতে সেসব সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়। এখন নানা জঙ্গি গোষ্ঠী যারা চুপ করে ছিল এখন তাদের সদস্যদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে কাশ্মীরি হস্তশিল্পী এবং ব্যবসায়ীরা ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের সাহায্য করছে কিনা গোপনে সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একাধিক নির্দেশিকা মেলার পরই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির সুরক্ষা বাড়ানো হয়েছে।