বৃহত্তর কলকাতায় নির্মীয়মাণ চারটি মেট্রো প্রকল্পের জন্য ২৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার সংসদে ২০২২–২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে দেশের রেল প্রকল্পগুলির জন্য ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাতেই মহানগরীতে চলা চারটি মেট্রো প্রকল্পের জন্য এই টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে কিছুটা বৃদ্ধি ছাড়া বাংলার অন্য মেট্রো প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ অনেকটাই কমেছে বাজেটে। রেলমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন, যে সব রেল প্রকল্পে জমিজটের সমস্যা নেই সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ করতে টাকার কোনও অভাব হবে না।২০২১ সালে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো খাতে ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ওই প্রকল্পে এবার বরাদ্দ বেড়েছে ২০০ কোটি টাকা। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত রুটের কাজ দ্রুত শেষ করতে এবারের বাজেটে ১১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইস্ট–ওয়েস্ট রুটে সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়ে গিয়েছে। সেন্ট্রাল পার্ক থেকে হলদিরাম পর্যন্ত ইস্ট–ওয়েস্টের পরিষেবা সম্প্রসারণের বিষয়টি এখনও রেল বোর্ডের সম্মতি পায়নি। তবে সামান্য অর্থ বরাদ্দ করে প্রকল্পটি বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। আবার ২০২১ সালে নোয়াপাড়া–বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫২০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে সেটা কমে হয়েছে ৫০৬ কোটি। নিউ গড়িয়া–বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পে গত বছর বাজেটে বরাদ্দ হয় ৪৩০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায়। চলতি বছরে বাজেটে ওই প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৩৫০ কোটি টাকা। মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট দু’টি প্রকল্পের উপর ধারাবাহিক নজরদারি চালাচ্ছেন। প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখছেন তিনি। সেই রিপোর্টও নয়াদিল্লিতে পাঠাচ্ছেন।এই মুহূর্তে কাজ চলছে আরও একটি মেট্রো প্রকল্প জোকা–বিবাদী বাগ ভায়া মাঝেরহাট রুটে। অতিমারির প্রথম ঢেউয়ের সময় এই কাজ ধাক্কা খেয়েছিল। এই রুটে একাধিক জায়গায় জমিজটও ছিল। সূত্রের খবর, বছর দু’য়েকের মধ্যে এই রুট আংশিকভাবে চালু হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো চলতে পারে। জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে গত বছর বাজেটে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। পরে সংশোধিত বরাদ্দ গিয়ে ঠেকে ৪২৫ কোটি টাকায়। এবার বরাদ্দ কমে হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। এই বিষয়ে কলকাতা মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, ‘শহরের সব মেট্রো প্রকল্পের জন্য ২৩১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আশা করছি, প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে অর্থের বরাদ্দ বাধা হবে না।’