যেসব হলুদ ট্যাক্সির ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে সেগুলিকে নতুন করে গড়ে তোলা হবে। সেগুলিকে ইলেকট্রিক যানবাহনে পরিবর্তন করা হবে। তাতে শহরে দূষণ কমবে। আর পরিবেশবান্ধব যানবাহন পাবে মহানগরী। এই বিষয়টি নিয়ে একটি কর্মশালা করা হয়। যৌথ উদ্যোগে তা করে বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এবং ব্রিটিশ সরকার।
কলকাতার রাস্তায় হলুদ ট্যাক্সি (ছবি সৌজন্য পিটিআই)
কলকাতা শহরে হলুদ ট্যাক্সি যাতায়াতের একটি বড় লাইফলাইন। কিন্তু এইসব হলুদ ট্যাক্সি ১৫ বছর হয়ে গেলে বাতাসে দূষণ ছড়াতে থাকে। আর তাতে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয় তিলোত্তমার মানুষজনের। পরিবেশ দূষণ নিয়ে এখন সচেতন সবপক্ষই। তাই এই হলুদ ট্যাক্সির পরিবর্তন ঘটাতে চাইছে রাজ্য সরকার। তার প্রধান কারণ পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তোলা। এখন নিয়ে এই ইস্যুতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অধিকাংশ ট্যাক্সি চালক পরিবর্তনের খবর পেলেও সেটা কেমন হবে তা জানতে না পেরে অজানা আশঙ্কায় ভুগছেন।
হলুদ ট্যাক্সি কী উঠে যাবে? যেসব হলুদ ট্যাক্সির ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে সেগুলিকে নতুন করে গড়ে তোলা হবে। সেগুলিকে ইলেকট্রিক যানবাহনে পরিবর্তন করা হবে। তাতে শহরে দূষণ কমবে। আর পরিবেশবান্ধব যানবাহন পাবে মহানগরী। এই বিষয়টি নিয়ে একটি কর্মশালা করা হয়। যৌথ উদ্যোগে তা করে বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এবং ব্রিটিশ সরকার। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সচিব এস সুরেশ কুমার বলেন, ‘এই বিদ্যুৎ ইঞ্জিনের জেরে কলকাতার হলুদ ট্যাক্সির আয়ু বাড়বে। যেখানে ১৫ বছরের ট্যাক্সি বাতিলের নিয়ম চালু হয়েছে সেখানে এমন পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।’
আর কী জানা যাচ্ছে? ইলেকট্রনিক ভেহিকেল দিয়েই পরিবেশবান্ধব বাতাবরণ গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই এই বিষয়টিকে আরও বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। এমনকী এটাকেই বাণিজ্যিকভাবে নিয়ে আসতে চায় রাজ্য সরকার। গোটা ভারতের বাজারে এই ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কার্যকর করতে চায় রাজ্য। বিদ্যুৎ সচিবের কথায়, ‘আমরা চাই ইভি সংস্থাগুলি বাংলার মাটিতে কারবার শুরু করুক। আর বাতাবরণ পরিবেশবান্ধব গড়ে তুলুক।’ ২০২৫ সালে আড়াই হাজার ডি এবং ই–সিরিজের অ্যাম্বাসেডর বাতিলের তালিকায় ঢুকে পড়বে। তাই এই জরুরি উদ্যোগ।