এই বৈঠকে আর কয়েকটি দফতরকে ডাকা হয়েছে। যাতে সর্বস্তরে কলকাতা পুরসভার নেওয়া সিদ্ধান্ত পৌঁছে দেওয়া যায়। এই বৈঠকে কলকাতা পুলিশ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পরিবহণ এবং শিল্প দফতরকে ডাকা হয়েছে। কারণ পরিবহণ এবং শিল্পাঞ্চল থেকেই দূষণ বেশি ছড়ায় বাতাসে। এই বাতাস থেকে নানা অসুখ করতে পারে।
Ad
মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শহর পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে লাগাতার কাজ করে চলেছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু শুধু এই কাজ করেই সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। আর তাই এবার ‘এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স’ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে শুরু করেছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাতাসের মান যাতে খারাপ না হয়, দূষিত হয়ে না পড়ে তার জন্যই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দীপাবলির সময় মহানগরীর বাতাসের মান ছিল অত্যন্ত খারাপ। সেই সময়টা কেটে গিয়ে ১০ নভেম্বর সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছয়। কিন্তু আবার খারাপ হতে শুরু করেছে বাতাসের মান। এই খবর মিলেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে সেই তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভায়। তারপর থেকেই প্রত্যেক ওয়ার্ডে জল ছেটানোর কাজ শুরু হয়েছে। শুধু এই কাজ করেই যে বাতাসের মান ভাল করা যাবে তা নয়। আরও কিছু করতে হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে কলকাতা পুরসভা এখন জল স্প্রে করে চলেছে। কিন্তু তারপরও সর্বত্র বাতাসের মান ভাল রাখা যাচ্ছে না। তাই এবার কল্লোলিনী কলকাতার বাতাসের মান ভাল রাখতে কী পদক্ষেপ করা যায় তার জন্য জরুরি বৈঠক ডাকলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই বৈঠকে হাওড়া পুরসভাকেও ডাকা হয়েছে। কারণ তাদের বাতাসের মান আরও খারাপ। যা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।
এই বৈঠকে আর কয়েকটি দফতরকে ডাকা হয়েছে। যাতে সর্বস্তরে কলকাতা পুরসভার নেওয়া সিদ্ধান্ত পৌঁছে দেওয়া যায়। এই বৈঠকে কলকাতা পুলিশ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পরিবহণ এবং শিল্প দফতরকে ডাকা হয়েছে। কারণ পরিবহণ এবং শিল্পাঞ্চল থেকেই দূষণ বেশি ছড়ায় বাতাসে। আর বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাতে কলকাতা পুলিশ চলে তাই তাদের ডাকা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বাতাসের মান খুব খারাপ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা না গেলে এই বাতাস থেকে নানা অসুখ করতে পারে।