বেতন পাননি কলকাতা পুরসভার ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের একাংশ বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২৫ সালের প্রথম দু’মাসের বেতন মেলেনি কলকাতা পুরসভার ১০০ দিনের কর্মীদের বলে অভিযোগ ওঠায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। দক্ষ–অদক্ষ মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার কর্মী এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। এখন তাঁরা সকলেই বেতন না পেয়ে হাপিত্যেশ করছেন বলে খবর। সামনে দোল উৎসব রয়েছে। এই আবহে টাকা না মেলায় চিন্তিত সকলেই। তবে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, হোলির আগেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বকেয়া এবং কারেন্ট মাইনে। দু’মাস বেতন তো মেলেনি। উলটে জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি পেরিয়ে মার্চ মাস পড়ে গিয়েছে। নতুন বছরেই বেতন পাননি কলকাতা পুরসভার ১০০ দিনের কর্মীরা।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি তুলে ধরেন বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। যদিও আগামী একসপ্তাহের মধ্যে বকেয়া দুই মাসের বেতন একলপ্তে কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সদস্য অসীম বসু। তবে অনেকেই আশা করছেন দোল–হোলির আগে বকেয়া বেতন মিললে উৎসবে মেতে ওঠা যাবে। এই শহরকে সুন্দর করে রাখেন ১০০ দিনের প্রকল্পের কর্মীরা। জঞ্জাল সাফাই, নিকাশির কাজ, উদ্যান পরিচর্যা এমনকী স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচারও করে থাকে। সেখানে ১০০ দিনের কর্মীরা গত দু’মাস পরিবার নিয়ে বিস্তর সমস্যায় রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: গাছে বাঁধা যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার, ধর্ষণ করে কি খুন? পূর্ব বর্ধমানে তদন্তে নামল পুলিশ
নামমাত্র মজুরির বিনিময় যে বিপুল পরিশ্রম করেন কর্মীরা তাঁরা মজুরি না পাওয়ায় বিস্তর সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই আবহে আবার কলকাতা পুরসভা বহুদিন স্থায়ী পদে লোক নিয়োগ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। জঞ্জাল সাফাই বিভাগ, নিকাশি, উদ্যান, রাস্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং সব বিভাগে প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে। সেখানে একশো দিনের কাজ করেও বেতন মিলছে না বলে অভিযোগ। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ ফেসবুকে ঘটনাটি পোস্ট করে মেয়রের কাছে জবাব চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘১০০ দিনের কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তবে খারাপ লাগে টাকা গোটা কলকাতার কর্মীরা পাচ্ছেন না। যে ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর সেখানেও পাচ্ছেন না। সামান্য মজুরির বিনিময়ে পেটের তাগিদে খাটে তাঁরা।’