কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা নিজে অভিযোগ করেছিলেন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র নাকি ঘটনার ভিডিয়ো করে রেখেছিল ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। এখন মনোজিতের সেই 'হাতিয়ার' তারই বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তের মোবাইল ফোন থেকে দেড় মিনিটের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার করেছে। ভিডিয়োটির ফরেনসিক বিশ্লেষণ চলছে। (আরও পড়ুন: কোন সময়সীমার বকেয়াকে মান্যতা রাজ্যের? স্পষ্ট ডিএ মামলার হলফনামায়)
আরও পড়ুন: ইউনুসের 'মাতব্বরির মাশুল', ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আরও চাপে বাংলাদেশ
এদিকে গণধর্ষণের তদন্তে কলকাতা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি ডিভিশন) প্রদীপ ঘোষালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সিট নির্যাতিতা এবং তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নিয়ে সিটের তদন্তকারী এক অফিসার বলেছেন, 'ঘটনাপ্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মূল অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে নির্যাতন করেছে। পারিপার্শ্বিক তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগটি প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে এটি পূর্বপরিকল্পিত অপরাধ কিনা তা প্রমাণ করতে হবে।' পুলিশ জানিয়েছে, মনোজিৎ, জাইব এবং প্রমিতকে সেই নির্যাতিতা বলেছিল যে তার প্রেমিক আছে। এরপরই অভিযুক্তরা নাকি হুমকি দেয় যে তারা নির্যাতিতার প্রেমিককে খুন করে সেই মামলায় নির্যাতিতার মা-বাবাকে ফাঁসিয়ে দেবে। (আরও পড়ুন: 'সরকারের ভূমিকা আছে', কসবা কাণ্ডে বিস্ফোরক আরজি করের নির্যাতিতার বাবা)
আরও পড়ুন: কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে রয়েছে সাক্ষী, দাবি নির্যাতিতার, কে সেই ব্যক্তি?
এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে কলেজের সিসিটিভির হার্ডডিস্ক। পুলিশ জানিয়েছে, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ২৪ বছরের এক ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ জুন বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজে কলেজ চত্বরের চারপাশের গতিবিধি ধরা পড়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, গত ২৫ জুন দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট নাগাদ তিনি কলেজে ঢোকেন। কলেজে কিছু কাজ মিটিয়ে ইউনিয়ন রুমে বসে ছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। তখন তাঁকে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেছিল অভিযুক্তরা। এরপর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল দাপুটে টিএমসিপি নেতা। পরে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেই ছাত্রীকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে। (আরও পড়ুন: 'NRC' নিয়ে চর্চার মাঝে আধার নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, মাথায় হাত পড়বে কাদের?)