কলকাতা–প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে তপ্ত বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার আবারও কলেজ পরিদর্শনে একক হাজির হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের মধ্যেই সংস্কৃত কলেজে হাজির হলেন বড়লাট। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বা শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে আগেই নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের সারপ্রাইজ ভিজিট করেছেন। আর একক উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপরও আজ একক গেলেন লাটসাহেব।
এদিকে রাজ্যপাল প্রসঙ্গ নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই আবহে হঠাৎ করেই রাজ্যপাল সংস্কৃত কলেজে হাজির হওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে এসেই কলেজের কর্মীদেরকে দিয়ে খুলিয়ে দেন লাইব্রেরি। তারপর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কক্ষ পরিদর্শন করে কথাবার্তা বলেন তিনি। ভাল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে পরিচালন কমিটিকে নির্দেশ দেন ‘আচার্য’। এই কাণ্ড নিয়ে এখন জোর আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষা দফতরে।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচার্য করার আওয়াজ উঠেছে। এই নিয়ে শহরজুড়ে পোস্টার পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংস্কৃত কলেজে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যপাল বলেন, ‘এটা সারপ্রাইজ ভিজিট নয়। উৎসাহ দিতেই আমি এসেছিলাম। আর বারবার আসব।’ এখন একসপ্তাহ স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি রয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে। আর সেই ফাঁকে রাজ্যপাল পরিদর্শন করছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? গত ১৬ এপ্রিল শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। আবার উপাচার্যদের সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন। এমনকী শিক্ষাবিদদের রাজভবনে ঢেকে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা করেন। সবটাই নবান্ন এবং বিকাশ ভবনকে গোপন রেখে। এমনকী ১৮ এপ্রিল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেছিলেন রাজ্যপাল। আর তারপরেই সংস্কৃত কলেজে ‘একক’ হাজির হলেন রাজ্যপাল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup