মুর্শিদাবাদের অশান্তি পরিকল্পিত আজ সোমবার সে কথা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতির অবনতি হলে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথারও উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর তা নিয়েই রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা করে এটাকে রাজ্যপালের ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইনমেন্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর সিপিএম এবং কংগ্রেসও রাজ্যপালের এই কাজকে একহাত নিয়েছেন। যদিও শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য রাজ্যপালের রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে তুলোধনা করেছেন কুণাল ঘোষ। আর বাকি দুই দল সিপিএম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যথাক্রমে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বিরোধিতা করেছেন রাজ্যপালের। এই নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসনের নামে রাজ্যপালের হাতে ক্ষমতা এলে সমস্যার সমাধান হবে না। আগে এই বিষয়ে কুৎসিত অভিজ্ঞতা রয়েছে রাজ্যবাসীর। রাজ্যকে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা রোখা যায়নি। এখন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মণিপুরে ডবল ইঞ্জিন সরকার চললেও মানুষের জীবন বিপন্ন। রাজ্য সরকারকেই মানুষের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। রাষ্ট্রপতি শাসন কোনও সমাধান নয়।’
আরও পড়ুন: যুব সংগঠনে মীনাক্ষীর ইনিংস কি শেষ হতে চলেছে? ডিওয়াএফআইয়ের মুখ খুঁজছে আলিমুদ্দিন!
রাজ্যপাল অবশ্য এমন লিখেছেন কিনা তা নিয়ে মুখ খোলেননি এখনও। তার জেরে বিতর্ক জিইয়ে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, ‘রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য যে সুপারিশ করেছেন সেটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সরাসরি আঘাত। এটি একদিকে সংবিধানসম্মত নয়। অপরদিকে এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ। যা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির পরিপন্থী। নির্বাচিত রাজ্য সরকারের আইন প্রণয়ন এবং শাসনব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার জন্য অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হিসেবে জরুরি শাসন জারির চেষ্টার নিন্দা করছি।’