কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনারকে মাথায় রেখে কমিটিতে রাখা হয়েছে—সিভিল বিভাগের ডিজি, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, পরিবেশ বিভাগের ডিজি, কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা, বিএলআরও, কলকাতা পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের অফিসারকে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা যে আর বাড়বে না সেটা কেউ বলতে পারছেন না।
Ad
গার্ডেনরিচে উদ্ধারকাজ
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বহুতল ভেঙে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১১ জনে। এবার সেই সংখ্যাটা পৌঁছে গেল ১২–তে। মৃত্যুর খবর বারবার সামনে এসেছে এই ঘটনায়। আজ, রবিবার মৃত্যু হয়েছে মরিয়ম বিবি (৮৫) নামে এক বৃদ্ধার। এখনও আরও তিনজনের চিকিৎসা চলছে এসএসকেএম হাসপাতালে। গত রবিবার মাঝরাতে গার্ডেনরিচের একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে বহুতলের ভগ্নস্তূপ থেকে একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েই চলেছে। হাসপাতালে ভর্তি দু’জনের অবস্থার একটু উন্নতি হলেও আর একজনের অবস্থাও সংকটজনক। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতার নাম মরিয়ম বিবি (৮৫)। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেখানেই মরিয়মের চিকিৎসা চলছিল। এদিন ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আবদুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু চাচাকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃদ্ধা মরিয়মের মৃত্যু হল। সুতরাং বহুতল বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। প্রথমে মৃত্যুর সংখ্যা দুই শোনা গিয়েছিল। তারপর ক্রমেই বেড়েছে সংখ্যা। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আজহার মোল্লা বাগানের বাসিন্দা মরিয়ম বিবিকে। গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয় তাঁকে। আর হাসপাতালেই মারা যান তিনি।
অন্যদিকে গার্ডেনরিচ কাণ্ড সামনে আসায় প্রশাসন ও পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি। কলকাতা পুরসভার বরো ১৫’র প্রায় সব ইঞ্জিনিয়ারদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা পুরসভা এখন এসওপি তৈরি করেছে। পুরসভার বিল্ডিং আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের ফৌজদারি আইনও। এমনকী বহুতল বিপর্যয় নিয়ে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলকাতা পুরসভা। একসপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি। গত রবিবার মাঝরাতে গার্ডেনরিচে বেআইনিভাবে নির্মীয়মাণ একটি আবাসন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাশের বসতিতে। তার জেরে দেদার বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা।