গঙ্গা ভাঙন নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়। চিঠির শুরুতেই তিনি গত ২১ ফেব্রুয়ারির চিঠির কথা উল্লেখ করে দিয়েছেন। মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার গঙ্গা ভাঙনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ফরাক্কায় ব্যারাজের কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে।এর সঙ্গেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ২০১৭-২০২১ সালের মধ্যে ৩১টি নির্দিষ্ট জায়গায় আমরা ভাঙন রোধে কাজ করেছি। এজন্য প্রায় ১৬৮ কোটিরও বেশি খরচ হয়েছে। গত এক বছরে ভাঙন রুখতে প্রায় ৮০ কোটি টাকার কাজও করা হয়েছে। কিন্তু এজন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।চিঠির শেষ পর্বে মমতা লিখেছেন, আমি আপনাকে জরুরী ভিত্তিতে আবেদন জানাচ্ছি যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ভাঙন কবলিত এলাকাগুলি খতিয়ে দেখে তার ব্যবস্থা আপনি করুন। বাংলা, বিহার, গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশন ও এফবিপিএকে সঙ্গে নিয়ে যাতে টেকনিকাল স্টাডি করা হয় সেজন্য় অনুরোধ করছি। পাশাপাশি ভাঙন রোধে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদনও করেছেন তিনি। আসলে গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। মমতা লিখেছেন, চাষের জমি, ভিটে বাড়ি সব তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাগর্ভে। জাতীয় সড়কও প্রভাবিত হচ্ছে। দুই জেলার মধ্যে দূরত্ব কমছে। ক্ষতি হতে পারে ফরাক্কার ব্রিজেরও।এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রতিবার ভোট এলেই মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় ভাঙন কবলিত জেলায় গঙ্গা ভাঙনের ইস্যু সামনে আসে। সেখানে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলে শাসকদল। এবার ফের সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গঙ্গা ভাঙন রোধে চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে কি এই চিঠিকেই এবার ভোটে হাতিয়ার করবে শাসকদল?