মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ বিশ্বজিৎবাবুর বিধাননগরের বাড়িতে পৌঁছেছিল ইডি। তার পর থেকে শুরু হয় লাগাতার তল্লাশি। তবে তখন ব্যবসায়ী কলকাতার বাইরে ছিলেন। বিকেলে বিমানে কলকাতা পৌঁছলে তাঁকে বিমানবন্দরেই আটক করেন ইডির গোয়েন্দারা।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শংকর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করল ইডি। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্বজিৎবাবুর বিধাননগরের বাড়িতে লাগাতার তল্লাশির পর বুধবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, এই ব্যবসায়ী শংকর আঢ্যকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন। তার বিনিময়ে নিয়েছেন মোটা কমিশন।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ বিশ্বজিৎবাবুর বিধাননগরের বাড়িতে পৌঁছেছিল ইডি। তার পর থেকে শুরু হয় লাগাতার তল্লাশি। তবে তখন ব্যবসায়ী কলকাতার বাইরে ছিলেন। বিকেলে বিমানে কলকাতা পৌঁছলে তাঁকে বিমানবন্দরেই আটক করেন ইডির গোয়েন্দারা। নিয়ে যান বাড়িতে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিশ্বজিৎবাবুকে জেরা শুরু করেন তাঁরা। তদন্তকারীদের দাবি, বিভ্রান্তিকর জবাব দিয়ে তদন্তকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। এমনকী তথ্য গোপন করেন তিনি। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেন ইডির গোয়েন্দারা।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎবাবুর বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়, আমদানি - রফতানি ও সোনার কারবার রয়েছে। এই তিন ব্যবসার মাধ্যমে শংকর আঢ্যর কালো টাকা সাদা করেছেন তিনি। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে শংকরের কালো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। ভুয়ো আমদানি দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। ওদিকে সোনা কেনার হিসাবে গরমিল করেও কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।