জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চিঠি অনুযায়ী স্বতন্ত্র দফতর করার নির্দেশ মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। এই আবহে রাজ্য প্রশাসন আইনি পরামর্শ নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে। সরকারের দাবি, দফতর যদি স্বতন্ত্র হয়ও বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্য সরকারের অধীনেই থাকে হবে। এদিকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এই নিয়ে রাজ্য সরকার পালটা চিঠি দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা বিশেষ সমীক্ষা চালাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এরই মাঝে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নতুন চিঠি পাঠায় জতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে স্বতন্ত্র করতে বার্তা দেওয়া হয় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। তবে তাতে আপত্তি সরকারের। (আরও পড়ুন: হরিয়ানায় 'বাঙালি গ্রেফতার' নিয়ে সরব TMC, পরে ভুল বুঝে 'কান লাল' নেতার?)
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে 'বাংলাদেশি' ধরা নিয়ে আপত্তি তৃণমূলের, এরাজ্যেই গ্রেফতার অবৈধবাসী
এদিকে নবান্নে পাঠানো জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান ব্যবস্থায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্বশাসনের অভাব রয়েছে। সিইও দফতর রয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। এই আবহে সিইও দফতরের কাজের ক্ষেত্রে যাতে নির্ভরশীলতা না থাকে, সেজন্য একাধিক পদক্ষেপের বার্তা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিকে মনে করা হচ্ছে, ভোটার তালিকায় সংশোধনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসাবেই এই পদক্ষেপ করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। (আরও পড়ুন: ওড়িশায় লাইনচ্যুত শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস, আতঙ্কিত যাত্রীরা)
আরও পড়ুন: বড় বদল কেন্দ্রের, রেশন কার্ড হোল্ডাররা এই কাজ না করলে নিষ্ক্রিয় হবে কার্ড
আরও পড়ুন: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের 'রূপ বদল', ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ
বিহারের পর বাংলায় ভোটার তালিকার সংশোধন করতে নামবে কমিশন। তবে বাংলায় সমীক্ষা করতে চাইলে রাজ্য সরকার কমিশনকে সাহায্য করবে না বলে স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে কমিশনের এই চিঠি যায় নবান্নে। এদিকে বর্তমানে সিইও দফতরে চারটি পদ শূন্য রয়েছে। অপরদিকে আর কয়েক মাস পরই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধাসভা নির্বাচন। এই আবহে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শূন্যপদগুলি পূরণের বার্তা দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে। এদিকে চিঠিতে বলা হয়েছে, সিইও-কে রাজ্যের অর্থ দফতরের উপর নির্ভর করতে হয়। এই আবহে সিইও দফতরের জন্য আলাদা বাজেট ঘোষণা করতে হবে বলে উল্লেখ করা রয়েছে কমিশনের চিঠিতে। সিইও-কে সাহায্যের জন্য নির্বাচন দফতরে এক আর্থিক উপদেষ্টা নিয়োগের কথাও চিঠিতে লিখেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।