'সংগঠনটা কে করবে, আমি করব নাকি হিন্দুরা করবে?
অপর একজন বলেন, দাদা করছি তো
তখন দিলীপ ঘোষের জবাব, হিন্দুরা মরুক না। এক কষ্ট পাচ্ছেন কেন?
এরপর দিলীপ ঘোষ বলেন, কোনও মায়া নেই। কৃষ্ণনগরের লোকের প্রতি কোনও মায়া নেই। আবার কল্যাণকে হারাল। পাশে দেখুন আড়াই লক্ষে ভোটে জিতেছে…. নির্মম হোন। হিন্দু অনেক মরেছে। আরও কিছু মরুক।'
এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তবে এই ভিডিয়োর সত্য়তা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
দেবাংশু লিখেছেন, ভাইরাল হওয়া মেসেজটি কতটা সত্যি সেটা আস্তে আস্তে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে ঘটনা পরম্পরায়! দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের শেষের অংশটুকু শুনবেন..
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা হেরে যাওয়ার পর দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন 'মরুক না হিন্দুরা! আমাদের কোন মায়া নেই.." লুকিয়ে সেই ভিডিওটা করে নিয়েছিলেন বিজেপির কোনও কর্মী।
সেদিন থেকেই পরিষ্কার, ভোট না দিলে হিন্দু আর মুসলিম এর মধ্যে কোন তফাৎ বিজেপির কাছে নেই..
এদিকে এই ভিডিয়োটিতে আপাতভাবে বোঝা যাচ্ছে হিন্দুদের প্রতি কিছুটা অভিমান থেকেই দিলীপ ঘোষ এই ধরনের কথা বলেছিলেন। মূলত যেটা বোঝা যাচ্ছে হিন্দুদের প্রতি এত কিছু করার পরেও কেন হিন্দুরা গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয় না মূলত সেদিকেও সম্ভবত বলতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এটা কৃষ্ণনগরে লোকসভা আসনে হেরে যাওয়ার পরে দিলীপ ঘোষের অভিমানের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন অনেকে।
তবে কমেন্ট সেকশন একজন লিখেছেন বাঙালি হিন্দুরা সাবধান। অন্যদিকে সনাতনী হিন্দু নামের প্রোফাইল থেকে লেখা হয়েছে রাগে দুঃখে এসব কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবেই বিশেষ করে যেসব হিন্দু হিন্দুকে ভালোবাসে মনে প্রাণে হিন্দুর ভালোটাই চায়। হিন্দুরা আজও নিজেদের ভালোটা বুঝল না।
অপর একজন লিখেছেন, দিলীপ ঘোষ খারাপ কিছু বলেননি। তিনি হিন্দুদের উপর হতাশা থেকে এসব বলেছেন। আজ যদি হিন্দুরা ক্ষমতায় থাকত তাহলে হিন্দুদের মার খেয়ে পালাতে হত না।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘দু'দিন ধরে মুর্শিদাবাদে যে ভাবে তাণ্ডব চলেছে, হিন্দুদের বাড়িঘর লুঠ, শয়ে শয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে সেটা দেখার পরেও রাজ্য সরকার চুপ করে ছিল। ২ দিন ধরে বিএসএফকেই সব নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। তার পর আদালতে যেতে হয়েছে আধাসেনা নামানোর জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন না এখানে হিন্দুরা থাকুক। তাঁর রাজনৈতিক স্বার্থে হিন্দু সমাজকে উনি শেষ করে দিতে চাইছেন। পাপের বোঝা বাড়ছে ওনার। এটাই ওনাকে এখান থেকে বিদায় করবে।’