নির্বাচনে তো শূন্যতায় পৌঁছেই গিয়েছে। এবার লোকবল এবং পকেটেও টান পড়েছে। আর এটা ঘটেছে সিপিএমে। কোনও নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত সাফল্য আসেনি। সদস্যরা ধীরে ধীরে পাতলা হয়েছে। লেভি আসা কমে গিয়েছে। প্রত্যেক জেলাতেই সদস্য সংখ্যা কমেছে। আর সব মিলিয়ে গত তিন বছরে এই রাজ্যে সিপিএমের পার্টি সদস্য কমেছে ২৫ হাজার। আর তা নিয়ে রাজ্য সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় অনেকটা পিছন থেকে লড়াই করতে হবে সিপিএমকে। সেখানে জোট হলে একরকম। আর জোট না হলে চতুর্মুখী লড়াই।
এই পিছনে থেকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা সিপিএমের পক্ষে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ। সিপিএম সূত্রে খবর, রাজ্য সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রতিবেদনের ৪০ নম্বর পৃষ্ঠায় বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। প্রত্যেক বছরের একটা তথ্য দেওয়া এবং সদস্যপদ পাওয়ার এক বছরের মধ্যে পার্টি সদস্য তলানিতে যাওয়ার সংখ্যাও তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সেখানে দাবি করা হয়েছে, পার্টি সদস্যের অন্তর্ভুক্তি বেশি। ওই প্রতিবেদনের ৪২ নম্বর পৃষ্ঠায় ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পার্টি সদস্য সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ২০২২ সালে পার্টির সদস্যপদ খারিজ হয় ১১ হাজার। মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৪ হাজার। ২০২৩ সালে ৫৮০০ সদস্যপদ খারিজ হয়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৫৭ হাজার। আর ২০২৪ সালে ৮৪০০ সদস্যপদ খারিজ হয়ে সদস্য সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬০০ দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হামলা, বোমা–গুলির ঘটনায় তদন্ত