রাজ্যে আড়াই হাজারেও বেশি এসএনসিইউ শয্যা আছে। ৬৫৪টি পিকু এবং ১২০টি এনআইসিইউ ছাড়াও ৭৫টি পিকু বেড চালু করা হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে। শিশুরা এখন জ্বর–সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তারপর সেটা নিউমোনিয়ায় টার্ন নিচ্ছে আর মৃত্যু হচ্ছে শিশুর। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এবার অ্যাডিনোভাইরাস থাবা বসিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারে। তাঁর পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। আজ, সোমবার বিধানসভায় উদ্বেগের সঙ্গে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি কত ছোট, কত বড়, শিশু না কিশোর সেটা স্পষ্ট করে বলেননি। রাজ্যে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও আজ জানান, রাজ্যে ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন শিশুর। বাকি ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে নানা কারণে।
শিশুরা এখন জ্বর–সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তারপর সেটা নিউমোনিয়ায় টার্ন নিচ্ছে আর মৃত্যু হচ্ছে শিশুর। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে যেন মৃত্যুপুরীর আকার নিয়েছে। আজও দু’জন শিশু মারা গিয়েছে। এখানে একদিনে ৭জন শিশুরও মৃত্যু হয়েছিল। গত সপ্তাহে অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখন তাঁর পরিবারেই থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, সোমবার বিধানসভায় অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে সরব হলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের একজন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমি এই সব বলে বেড়াই না।’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে চিন্তিত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। আর অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতিকে নিশানা করেছেন তিনি। সুর সপ্তমে চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বলা হচ্ছে এসএনসিইউ (সিক নেটাল কেয়ার ইউনিট) নেই। সিপিএমের রাজত্বে জিরো ছিল। ১৩৮টি হাসপাতালে ২৪৮৬টি এসএনসিইউ রয়েছে।’