আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হল। কিন্তু প্রশ্ন হল পুলিশ কোথায় ছিল? এবার আরজি কর আউটপোস্টে মোতায়েন সমস্ত পুলিশকর্মীকে তলব করল সিবিআই। এদিকে চিৎপুর থানার অতিরিক্ত ওসি তলব পেয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। তিনিই ছিলেন ওই সেমিনার রুম রক্ষা দায়িত্বে। তিনি সেই সময় কোথায় ছিলেন?
তবে ইতিমধ্য়েই সিবিআই বহুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার মধ্য়ে সঞ্জয় আর তার বন্ধু সৌরভ রয়েছে। ব্যারাকে থাকা এক এএসআই রয়েছেন। সেই রাতে ফুড ডেলিভারি সংস্থার যে কর্মীরা এসেছিলেন তাদেরও জেরা করা হয়। যে চারজন জুনিয়র ডাক্তার একসঙ্গে খাবার খেয়েছিলেন তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। একাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে সিবিআই। জেরা করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। দফায় দফায় জেরা। তিনিই তো খুনের সময় ওই হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পদে ছিলেন। এমনকী তড়িঘড়ি সেমিনার রুমের পাশে দেওয়াল কেন ভাঙা হয়েছিল তা নিয়েও নানা প্রশ্ন। সেই কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গেও কথা বলেছে সিবিআই।
কিন্তু সবার উপরে প্রশ্ন ওই হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে তো ছিল রাজ্য পুলিশ। তারা কী করছিল? আরজি করে পুলিশের আউটপোস্টও রয়েছে। সেখানে কি রাতে মহিলা পুলিশ থাকত? তারা সেমিনার রুমের কাছে থাকতেন না কেন? সেটা তো হাসপাতালের বিল্ডিংয়ের মধ্য়েই। সেই সঙ্গেই সঞ্জয় অত রাতে হাসপাতালে ঢুকেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। কেউ কেন বাধা দিল না? তবে কি হাসপাতাল চালাত সঞ্জয়? এত দাপট কাদের প্রশয়ে পেত?