বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Bangladesh question in CU Exam: বাংলাদেশকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ প্রশ্ন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়! কোথায় 'গলদ'?
পরবর্তী খবর
Bangladesh question in CU Exam: বাংলাদেশকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ প্রশ্ন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়! কোথায় 'গলদ'?
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 15 Feb 2025, 01:04 PM ISTAyan Das
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন এল, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। একটি মহলের বক্তব্য, ওই প্রশ্নে গলদ আছে। অপর একটি মহলের বক্তব্য, পড়ুয়াদের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জ্ঞান যাচাই করতে সেই প্রশ্ন করা হয়েছে।
Ad
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন এল, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি এবং এপি)
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের জেরে বিতর্ক শুরু হল। ওই প্রশ্নে সরাসরি বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওই প্রশ্নের ইঙ্গিতটা বাংলাদেশের দিকেই ছিল বলে মনে করছেন অধ্যাপকরা। তবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে অন্য একটা বিষয় নিয়ে। সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পঞ্চম সেমেস্টারের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল যে ‘২০২৪ সালে ভারতের প্রতিবেশী দেশের কোন রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন?’ আর সেই প্রশ্নটা এমনভাবে করা হয়েছিল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অধ্যাপকদের বক্তব্য, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভারতে চলে এসেছেন, সেটা নিয়েই নিঃসন্দেহে প্রশ্নটা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে তো ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ (Political Asylum) দেওয়া হয়নি ভারতে। এরকম ভুল অমার্জনীয় বলে দাবি করেছেন অধ্যাপকরা।
হাসিনাকে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেয়নি ভারত!
এমনিতে গত বছরের ৫ অগস্ট তাঁর সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তারপর থেকে ভারতেই রয়েছেন। জানুয়ারিতে নাম গোপন রাখার শর্তে আধিকারিকরা জানান যে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যাতে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন। তবে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল, তা খারিজ করে দেন। তাঁরা জানান, কাউকে ‘আশ্রয়’ দেওয়ার মতো বিষয়ে ভারতে নির্দিষ্ট কোনও আইন নেই।
সেই প্রেক্ষিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নে কীভাবে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’-র কথা বলা হল, তা নিয়েই উষ্মাপ্রকাশ করেছেন অধ্যাপকরা। সেইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হাসিনা ছিলেন না। তিনি সরকারের প্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন।
যদিও অপর একটি মহলের বক্তব্য, পড়ুয়াদের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জ্ঞান খতিয়ে দেখতেই সেই প্রশ্নটা করা হয়ে থাকতে পারে। ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে সব রাজনৈতিক ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে তাঁরা কতটা জানেন, সেটা হয়তো দেখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’-র ব্যাপারটা উল্লেখ করে পড়ুয়ারা কতটা খুঁটিনাটি বিষয়টা জানেন, তা যাচাই করে দেখতেই ওরকম প্রশ্ন করা হয়েছে কিনা, সেটা নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্নাতক স্তরের বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন যে প্রশ্নটা নিয়ে শিক্ষক মহলে হইচই শুরু হলেও লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। এমনিতে তিনটি প্রশ্নপত্রের সেট তৈরি করা হয়। তার মধ্যে থেকে একটি চূড়ান্ত করা হয়ে থাকে। তাই কোনও ভুল ধরা পড়লে সেটা বৈঠকের সময়ই খতিয়ে দেখা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।