আদালতের অনুমতি ছাড়া আর এই বিষয়ক মামলায় কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করা যাবে না। এমনকী আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না কলকাতা পুলিশ। এই মামলায় চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাল্টা চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে পারবেন কলতান দাশগুপ্তও।
Ad
কলতান দাশগুপ্ত
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়েছে বাংলায়। তার জেরে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ তা ৪১ দিনে পড়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সিপিএমের যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। ৫০০ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হল কলতানের। পাঁচদিন জেলে থাকার পর আজ তাকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অডিয়ো কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন কলতান।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে গত ১৪ অগস্ট একটি হামলা হয়। তখন নাম জড়িয়ে যায় সিপিএম–বিজেপির। এই দাবি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তারপর আর একটি অডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় হামলা করার ষড়যন্ত্র শোনা যায়। সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেছিল কলকাতা পুলিশ। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল তা যাচাই করেনি। আর ওই অডিয়ো সামনে নিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তারপরই গ্রেফতার হন কলতান দাশগুপ্ত।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশই। তার পর থেকেই কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ধর্ষণ–খুনের তদন্ত করছে সিবিআই। এই আবহে কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে? রাজ্যের থেকে তার রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলতান।