আজ, শনিবার বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শুরু থেকেই ৬টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী গত বিধানসভা নির্বাচনে যে মাদারিহাট থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিল, সেই মাদারিহাট হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। মাদারিহাটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো ৩০ হাজারের ভোটে জয়ী হয়েছেন। ফলাফলের ট্রেন্ড বলছে ৬–০ হবে। এই আবহে আরও তিনটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সে চারটি হল—সিতাই, নৈহাটি, মেদিনীপুর এবং হাড়োয়া। বাকি একটিতে জেতা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর তখনই বার্তা এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে ছয় বিধানসভা কেন্দ্রেই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা। অকাল হোলি খেলতে শুরু করেছেন। সুতরাং উত্তরবঙ্গে আরও শক্তঘাঁটি তৈরি করল তৃণমূল কংগ্রেস। মাদারিহাট–সিতাই দুটিই উত্তরবঙ্গের আসন। আগে দিনহাটা জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিককেও পরাজিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই আনন্দে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে মা–মাটি–মানুষকে জানাই প্রণাম, জোহার ও সেলাম।’
অন্যদিকে তালড্যাংরায় এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর নৈহাটিতে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে। নৈহাটিতে দশম রাউন্ড শেষে ৪৮ হাজার ৮৭৯ ভোটে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে। হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রবিউল ইসলাম ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন। মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা ৩৩ হাজার ১৯০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। এই বিপুল জয় সামনে আসতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘আপনাদের এই আশীর্বাদ আগামীর চলার পথে আরও সক্রিয়ভাবে মানুষের কাজ করার উৎসাহ দেবে।’
এছাড়া আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর অনেকে ধরে নিয়েছিলেন এবার তৃণমূল কংগ্রেস কুপোকাত হবে। কিন্তু ওই ঘটনার কোনও প্রভাব পড়ল না বলেই দেখা যাচ্ছে ফলাফলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফলাফল দেখে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মানুষই আমাদের ভরসা। আমরা সবাই সাধারণ মানুষ, এটাই আমাদের পরিচয়। আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার। আপনাদের আশিস আজীবন হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে। জয় বাংলা।’