একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি হেরে গেলেও ৭৭টি আসন ঝুলিতে ছিল। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকে কলকাতা পুরসভা, উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন এবং আজ ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচনে গোহারা হল বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই দলের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় তাদের সংখ্যা ৩ থেকে ৭৭ হয়েছিল। বাংলার ইতিহাসে বিজেপির এমন ফলাফল আগে দেখা যায়নি। কিন্তু সেই উত্থান থেমে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশ্মায়। প্রধান বিরোধী দলের এখন বিধায়ক সংখ্যা শুধু কমেই চলেছে।
নিশীথ প্রামাণিক যখন সাংসদ ছিলেন তখন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর জিতেও চান। কিন্তু বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদে থেকে যান। পরে সেখানে জিতে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহ। মনোজ টিগ্গা বিজেপির টিকিটে পরপর দু’বার বিধায়ক হন। একুশের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মাদারিহাট কেন্দ্র থেকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। জয়ী হয়ে সাংসদ হন। এবার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। আজ, শনিবার উপনির্বাচনে সেই মাদারিহাটে বিপুল ভোটে জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। এভাবেই একের পর এক বিধায়ক সংখ্যা কমতে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার’, উপনির্বাচনে ফল দেখে বার্তা দিলেন মমতা
মুকুটমণি অধিকারী রাণাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে আবার বিধায়ক হন। বিশ্বজিৎ দাস বাগদা বিধানসভা থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন। কিন্তু একুশের নির্বাচনের ফলাফলে পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও হেরে যান তিনি। ওই বিধায়ক পদ জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। আর কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে আসেন। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন তিনি। সেক্ষেত্রে কমে যায় বিজেপির বিধায়ক।