২০০১ সালের ৫ জানুয়ারি। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে যিনি বসে রয়েছেন তাঁর নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ে এসেছিলেন বুদ্ধবাবু। এই স্কুলেই তো একটা সময় পড়াশোনা করতেন তিনি। চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। তবুও পুরনো স্কুল মানেই অনেক স্মৃতি। দোতলায় ক্লাস নাইন সির সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর বলে ওঠেন, আমার সময় এটা ক্লাস এইট বি ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল ধীরে ধীরে তিনি ফিরে যাচ্ছেন সেই স্কুলবেলায়। সেই স্কুলজীবনের দিনগুলোতে। এখানেই বেঞ্চে এসে বসতেন। সেই পুরনো স্কুলে এসে আবেগে ভেসেছিলেন বুদ্ধদেব। আজ তিনি না ফেরার দেশে। সেই দিনগুলোর কথা মনে করছেন স্কুলের শিক্ষকরা।
মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার আগে তথ্য় ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধবাবু। ১৯৯৭ সালে তিনি স্কুলে এসে স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জ্যোতির্বিকাশ মিত্রর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। তিনি ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পিতার বন্ধু। বাবা যে সমস্ত বই দিতেন সেই বই তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে পৌঁছে দিতেন। আবার প্রধান শিক্ষক যে বই দিতেন সেগুলি তিনি বাবার কাছে পৌঁছে দিতেন।
শুক্রবার সেই প্রাক্তন ছাত্র বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে স্কুল ছিল। তবে স্কুলের শিক্ষকদের মন আজ ভারাক্রান্ত। তাঁর নানা স্মৃতি আজও ছড়িয়ে রয়েছে।
১৯৫৪ সালে এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। ১৯৬১ সালে তিনি এই স্কুল থেকে পাস করে বেরিয়েছিলেন। তবে যেবার তিনি স্কুলে এসেছিলেন সেবার হেডস্য়ারের চেয়ারে তাঁকে বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তিনি বসেননি। বলেছিলেন, স্যাারের চেয়ারে বসব না।