পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা সহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে ১ মাস পর রিপোর্ট দিল BSF

পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বুথে ভোট লুট, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। পঞ্চায়েত ভোট গণনার সময়ও বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। ভোট পর্ব মিটে গিয়েছে প্রায় এক মাস আগে। এ নিয়ে এখনও কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে। তারই মধ্যে নবান্নের নির্দেশে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় এক মাস পর পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। তারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তবে এতদিন পরে কেন রিপোর্ট পাঠাল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।আরও পড়ুন: ভোটের দিন মৃত্যুর সংখ্যা ১০, দাবি কমিশনের, তথ্য গোপনের অভিযোগ বিরোধীদেরজানা গিয়েছে, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী জেলা, ব্লক ধরে ধরে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভোট পর্বে ২৩০ টি অভিযোগ পেয়েছে বাহিনী। তারমধ্যে যথাযথভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার না করা, ভোট লুট করা, ভোটারদের ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, মারধর করা প্রভৃতির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, সন্ত্রাস, বুথ দখলের অভিযোগ রয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভোটের দিন বাহিনীর তরফে ৩৭ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার বিস্তারিত তথ্য রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। তাদের কন্ট্রোল রুমে যে ৭৩ টি অভিযোগ গিয়েছিল তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন ই–মেলে তাদের কাছে ৭৭ টি, হোয়াটসঅ্যাপে ২১ টি এবং দিল্লিতে বাহিনীর সমন্বয়কারীর কাছে ২১ অভিযোগের রিপোর্টও কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলির ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।প্রসঙ্গত, ভোট পর্ব শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী টালবাহানা চলছিল। আদালতে নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলেও পঞ্চায়েত ভোটের দিন অনেক বুথেই দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাছাড়া, কেন্দ্র বাহিনী দেরিতে পাঠানোর অভিযোগ ওঠে। সেরকম কমিশনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। সংবেদনশীল বুথের তালিকা সময়মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছিল বিএসএফ। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে তা বোঝানোর জন্যই হয়তো এই রিপোর্ট দিয়েছে বিএসএফ। এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে তার ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে জেলা শাসকদের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।