‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি ধরে দেওয়ায় চাপ বাড়ে বঙ্গ–বিজেপির উপর। বিজেপি সুকৌশলে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ঢুকিয়ে দিয়েছে বাংলার ভোটার তালিকায় বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগের সঙ্গে বিস্ফোরক দাবি হিসাবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এভাবেই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ঢুকিয়ে বিজেপি দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে জিতেছে। তাই অবিলম্বে ভোটার কার্ডে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর চালু করতে হবে। এই দাবি মেনে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তাতেই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় দেখছে গোটা দেশ। এই আবহে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা।
কেমন করে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ তালিকায় ঢুকল? এই প্রশ্ন করতে চায় বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। জবাব চাইবেন নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে। তাহলে অন্তত মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগ থেকে নজর ঘোরানো যাবে। এই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ঢোকানোর কাজ যে তারা করেনি সেটা প্রমাণ করতেই এই নয়াদিল্লি সফর বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভায় বুথ ধরে ধরে কর্মীদের ‘ভোটার তালিকা’ খতিয়ে দেখার নির্দেশও পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল ভবন থেকে। কোর কমিটি গড়ে কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্যাপক হারে বেরতে শুরু করেছে ‘ভূতুড়ে ভোটার’। তাতে চাপ বেড়ে গিয়েছে বিজেপির উপর। এবার তাই নিজেদের দাবির স্বপক্ষে সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে আগামী মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘আমি বিষয়টি আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চাই’, রাজ্যপাল কোন তথ্য দিতে চান?