গুজরাটের ভদোদরায় ভেঙে পড়েছে সেতু।তাতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহিসাগর নদীর উপর গম্ভীরা ব্রিজ ভেঙে পড়ার ছবি, নদীতে গাড়ি পড়ে যাওয়ার দৃশ্য গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তার মাঝেই সতর্কতা নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রাজ্যের সমস্ত সেতুর ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ শুরু করার নির্দেশ দিল পূর্ত দফতর।
আরও পড়ুন: গুজরাটের সেতু দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ৪৮ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ একাধিক
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের কাছে বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের যেসব সেতু দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে বা যেগুলিতে ভারী যানবাহনের চলাচল বেশি, সেগুলির ওপর প্রথমে নজর দেওয়া হবে। পূর্ত দফতরের তরফে বলা হয়েছে, এই সমস্ত ব্রিজে স্পেশাল ইনস্পেকশন হবে। প্রয়োজনে পর্যবেক্ষণের পর মেরামতির কাজও হাতে নেওয়া হবে। তথ্য বলছে, গোটা রাজ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫০০টির মতো ব্রিজ রয়েছে। তবে এই বিশাল সংখ্যক সেতুর পরিদর্শন কতদিনের মধ্যে শেষ হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সম্ভাবনা রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পোস্তায় উড়ালপুল দুর্ঘটনা, তারপর মাঝেরহাটে সেতু বিপর্যয়ের ভয়াবহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি রাজ্যবাসী। তখন ব্যস্ত সময়ে আচমকাই ভেঙে পড়ে নবনির্মিত উড়ালপুলের একাংশ। প্রাণ হারান বহু মানুষ। সেই ঘটনার ধাক্কা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। ফলে আর কোনওভাবেই এমন বিপর্যয় দেখতে চায় না সরকার। সেই কারণেই এই উদ্যোগ।বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেতুগুলির কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ না হলে তা বড় বিপদের কারণ হতে পারে। গুজরাটের ঘটনার পর এবার পশ্চিমবঙ্গ আগেভাগেই সতর্ক হয়ে এমন পরিকাঠামোগত পরিদর্শনের পথে হাঁটল।যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।