লাগাতার প্রতিবাদের মুখে হিন্দু ছাত্রীদের হিজ়াব পরে স্কুলে আসতে নির্দেশ দেওয়ায় ২ শিক্ষককে সাসপেন্ড করল বাংলাদেশের শিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবার সেদেশের শিক্ষা দফতরের তরফে এই পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া ২ শিক্ষককে শো-কজ করে ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলেছে শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন - ১ কিউসেক মানে কত ক্যুইন্টাল, জানেন কি?
পড়তে থাকুন - উৎসব নয়, পুজো হবে, অনুদান ফিরিয়ে জানাল আরজি করের নির্যাতিতার পাশের পাড়ার পুজো
সম্প্রতি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মোসলেমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরে আসার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক মোফিজুর রহমান এবং ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। স্কুলের প্রার্থনা চলাকালীন তাঁরা এই নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের ভিতরেই হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অভিভাবকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিয়োয় এক ছাত্রীকে বলতে শোনা যায়, তাকে হিজাব পরে স্কুলে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষক। এমনকী কোরান মুখস্থ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হিজ়াব পরে না এলে ছেলেরা শরীরের দিকে তাকাবে বলে শিক্ষকরা ওই ছাত্রীকে কুৎসিৎ ভাষায় আক্রমণ করেন বলেও অভিযোগ।
অরেক ছাত্রী অভিযোগ করে, ‘ক্লাসে আমাদের স্যার বলেন, তোমরা হিন্দু মেয়েরা কজন আছ দাঁড়াও। বলল, তোমরা হিজাব পর না কেন? আমরা বলি, স্যার কেন আমরা হিজাব পরব। আমরা হিজাব পরব না, আমরা স্কার্ফ পরব। কিন্তু স্যার বলে যে, না তোমরা হিজাব পরে আসবা।এমনকী শিক্ষকরা হিন্দু ধর্ম ও শ্রীমদ্ভগবৎ গীতা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ ছাত্রীদের।
আরও পড়ুন - কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? বিহারের ২ ছাত্রকে ওঠবোসের ঘটনায় মমতার পুলিশকে চিঠি নীতীশদের
সেই ঘটনায় ২ শিক্ষককে সাসপেন্ড করে শো কজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তারপর তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’