নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সিবিআই হেফাতজে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখন জেলে। এখন সব স্তরেই প্রায় সব আলোচনাতেই একবার না একবার উঠে আসে পার্থ-অর্পিতার কথা। বঙ্গ রাজনীতির ‘রঙিন’ কিছু চরিত্রের আলোচনাতেও তাই অবধারিত ভাবে উঠে আসে পার্থর কথা। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, পার্থ নাকি একবার তাঁকে মদনকে নিয়ে ‘সতর্ক’ করে দিয়েছিলেন।শনিবার একটি বাংলা নিউজ চ্যানেলের ‘আড্ডায়’ একই ফ্রেমে ধরা পড়েন, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই এক গল্প শোনান বৈশাখী। বৈশাখী জানান, একটি অনুষ্ঠানে মদন মিত্র এবং তাঁকে কথা বলতে দেখেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তখনই তাঁকে এসএমএস করে পার্থ ‘সতর্ক’ করেছিলেন। এসএমএস-এ লেখা ছিল – ‘মদনকে কিন্তু নিজের ফোন নম্বর দেবে না।’ বৈশাখী জানান, অুষ্ঠান চলাকালীন তখন শোভনবাবু মঞ্চে বক্তৃতা রাখছিলেন। মদন মিত্র তখন বৈশাখীকে বসতে বলেছিলেন। প্রেক্ষাগৃহ তখন অন্ধকার। সেই সময় মঞ্চে ছিলেন পার্থবাবু। দু’জনকে কথা বলতে দেখে নাকি সঙ্গে সঙ্গে শোভনের বান্ধবীকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী।এই ঘটনা প্রসঙ্গে বৈশাখী আজ বলেন, ‘কতটা তীক্ষ্ণ নজর হলে মঞ্চ থেকে কেউ পুরোটা দেখতে পারেন। এটা যদি শোভন বলত, তাও মানা যেত। কিন্তু আমার মন্ত্রী মঞ্চ থেকে নজর রাখছেন। তিনি বলছেন যাতে আমি মদন মিত্রকে আমার ফোন নম্বর না দিই!’ এদিকে এই অনুষ্ঠানে পার্থকে নিয়ে শোভন বলেন, ‘রংটং মেখে থাকলে, তাঁকে মানুষ জোকার বলে।’ এদিকে পার্থকে নিয়ে মদনের বক্তব্য, ‘আমার আজকে পার্থদার জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু ও যদি অন্যের ব্যাপারে মাথা না ঘামিয়ে নিজের বিষয়ে মাথা ঘামাত তবে হয়তো ওঁকে এই ভাবে পস্তাতে হত না।’