অবৈধ শিক্ষিকা হিসাবে প্রাপ্ত বেতন বাবদ অর্থের প্রথম কিস্তি ফেরত দিলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা। শুক্রবার আদালতকে একথা জানিয়েছেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অঙ্কিতা। প্রথম কিস্তির ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা আদালতের বেঁধে দেওয়া ৭ জুনের মধ্যে জমা দিয়েছেন তিনি।২০১৮ সালের অগাস্টে মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা। পরেশবাবু ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের কয়েক দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্টে সবার ওপরে উঠে আসে তার নাম। তার পর বাড়ির কাছের স্কুলে নিয়োগ পান তিনি। যদিও ওই স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে কোনও শূন্যপদ ছিল না।ওদিকে অঙ্কিতা ওয়েটিং লিস্টে ১ নম্বরে আসার আগে যিনি শীর্ষে ছিলেন, সেই ববিতা সরকার আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে পরেশ অধিকারীর কন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে অবৈধ শিক্ষিকা হিসাবে অঙ্কিতার পাওয়া যাবতীয় বেতন ফেরত দিতে নির্দেশ দেন তিনি। নির্দেশ দেন সিবিআই তদন্তের।হিসাব বলছে ৪১ মাসের অবৈধ চাকরিজীবনে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা বেতন পেয়েছেন অঙ্কিতা। সেই টাকা ২ কিস্তিতে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। প্রথম কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল গত ৭ জুন। অঙ্কিতা আদালতকে জানিয়েছেন নির্ধারিত দিনের ১ দিন আগেই প্রথম কিস্তির টাকা ডিমান্ড ড্রাফ্ট হিসাবে জমা দিয়েছেন তিনি।