কসবা কাণ্ডের পর তৃণমূলের হিন্দু নেতারা আতঙ্কিত। তাদের মনোবল ফেরাতেই রাজ্যজুড়ে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করছে পুলিশ। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজ্য পুলিশের STFএর তরফে একদিনে ৪৯টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের সেই দাবিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দুবাবু।
আরও পড়ুন - হাসপাতাল থেকে জেলে ফিরেছেন জ্যোতিপ্রিয়, ভার্চুয়ালি হাজির আদালতের শুনানিতে
পড়তে থাকুন - বেলডাঙা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযত থাকতে বলল HC, BJP-র দাবি - ৪ জেলায় বন্ধ নেট
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র থানার মালখানায় ছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করার জন্য ওগুলোকে বার করে সাজিয়ে ছবি তুলিয়েছে। তৃণমূলের হিন্দু নেতারা এখন আতঙ্কিত। সন্দেশখালি, মিনাখাঁর হিন্দু বিধায়করা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতর হিন্দু কাউন্সিলর আক্রান্ত হয়েছেন। তৃণমূলের হিন্দু নেতারা এখন আক্রান্ত। তাদেরকে মনোবল ফেরানোর জন্য পুলিশের মালখানায় থাকা ভাঙা পচা টিপলেও গুলি বেরোবে না এরকম বন্দুক থাকে। সেই মালগুলো বের করে দেখাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন - ‘হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে নীরব মমতা!’ পুলিশের রদবদল নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত
কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন শাসকদলেরই একের পর এক নেতা। পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে তৃণমূলেরই অন্দরে। সৌগত রায়, মদন মিত্র থেকে ফিরহাদ হাকিম, প্রত্যেকের নিশানায় ছিল পুলিশ। তার পরই বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। বুধবার দিনভর জেলায় জেলায় অভিযান চালিয়ে ৪৯টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয় STFএর তরফে। প্রকাশ করা হয় উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি। গ্রেফতার করা হয় ৪৩ জনকে। যদিও বিরোধী দলনেতার দাবি, পুরোটাই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা।